পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ছয় বছর পার হলো গতকাল শুক্রবার। এদিন সকালে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর প্লটের ওই ভবনের সামনে হামলায় নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইন-শৃংখলা বাহিনী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তারপর ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় শিকার সদস্যদের স্মরণে নির্মিত দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানান ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম ও র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ছয় বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে দেশে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা জঙ্গিবাদ দমন করতে না পারলে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হতো না। হলি আর্টিজেনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর যদি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে না পারতাম তাহলে কোনো বিদেশি টেকনিশিয়ান-ইঞ্জিনিয়ার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আসত না।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। র্যাব সব সময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে দৃঢভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। র্যাব আজ পর্যন্ত তিন হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার জঙ্গিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মূল পরিকল্পনাকারী আমির সারোয়ার জাহান, অর্থায়ন ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামনুর রশিদ রিপন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ছয় বছর আগের হামলায় সাতজন জাপানি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যারা মেট্রোরেল লাইন ওয়ান প্রকল্পের গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। আমরা কখনোই তাদের ভুলব না। বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সেপ্টেম্বরে লাইন ১ এর কাজ শুরু হবে। এই কাজ চালিয়ে যাওয়া ও শেষ করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। বাংলাদেশ, ভারতসহ এ ঘটনায় যারা ভুক্তভোগী হয়েছেন, তাদের সবাইকে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আমরা খুবই ব্যথিত। এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, কীভাবে ঘটছে। একসঙ্গে কাজ করে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ। সেদিন জঙ্গিরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২০ দেশি-বিদেশি নাগরিককে, যাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি। সেই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তাও নিহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।