Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘নাপাম গার্ল’ স্বাভাবিক জীবনে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

পঞ্চাশ বছর আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার একটি ছবি দেখে চমকে উঠেছিল বিশ্ব। পেছনে আমেরিকার যুদ্ধ বিমান থেকে এক নাগাড়ে ফেলা হচ্ছে নাপাম বোমা। আর সামনে খালি গায়ে কাঁদতে কাঁদতে প্রাণের ভয়ে ছুটছে এক কিশোরী।
ফটো সাংবাদিক নিক উটের তোলা সেই ছবি পরবর্তীতে ‘নাপাম গার্ল’ নামে খ্যাত হয়। ছবির সেই কিশোরী, কিম ফুক ফান টি বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। ৫০ বছর পর কিম ফুক ফিরছেন স্বাভাবিক জীবনে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, যে দেশের হামলায় তার এই অবস্থা হয়েছিল, সেই আমেরিকাতেই হয়েছে তার ত্বকের চিকিৎসা।
১৯৭২ সালের জুনে ভিয়েতনামে কিম ফুকের গ্রামে হামলা করে আমেরিকার যুদ্ধবিমান। মুহুর্মুহু নাপাম বোমা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছিল ছোট্ট গ্রামটিকে। বোমা থেকে বাঁচতে আর পাঁচ জনের মতোই দৌড়াচ্ছিল ৯ বছরের কিম ফুক।
খালি গায়ে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ানো সেই ছবিটি ক্যামরোর লেন্সে ধরে রেখেছিলেন নিক। সেই ছবিই তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা বিশ্বে। পরবর্তীতে এই ছবির জন্যই পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন নিক। আর কিম ফুকের সারা শরীরে বোমার ক্ষত!
১৯৯২ সালে স্বামীর সঙ্গে ভিয়েতনাম ছাড়েন কিম ফুক। আশ্রয় নেন কানাডায়। সেই সময়ই আমেরিকার মিয়ামিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় ত্বক বিশেষজ্ঞ জিল জোয়াবেলের। কিম ফুকের কাছে গোটা ঘটনা শোনার পর লজ্জিত জিল পুরো চিকিৎসাটিই বিনামূল্যে করার কথা জানান।
শুরু হয় চিকিৎসা। ক্ষতবিক্ষত ত্বক সারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা। সুস্থ হয়ে কিম ফুক বলছেন, ‘৫০ বছর পর এখন আমি মুক্ত। আমাকে আর যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াতে হবে না। আর নাপাম গার্ল নামে আমাকে কেউ ডাকবে না। আমি একজন বন্ধু, একজন দিদিমা, যে যুদ্ধের ক্ষত মুছে বিশ্বশান্তির আহ্বান জানাচ্ছে’। সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট ইউকে, টরেন্টো স্টার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ