পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘হিরোইজম’ দেখাতে গিয়েই শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু। এক ছাত্রীর সঙ্গে অযাচিতভাবে ঘোরাফেরার বিষয়ে শিক্ষক উৎপল আপত্তি জানানোয় এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এবং ওই ছাত্রীর কাছে ‘হিরোইজম’ দেখাতে গিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে র্যাবের কাছে শিকার করেছে জিতু। গতকাল বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে, বুধবার রাতে আশরাফুল আহসান জিুতকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে সে হত্যাকান্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দেয়। অভিযুক্ত ছাত্র জিতুর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে পাঠানো হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক। শুনানি শেষে ঢাকা সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীর সাথে জিতু’র অযাচিতভাবে ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে বর্ণিত শিক্ষক প্রেষণা দেন। এই ঘটনায় জিতু ক্ষুব্ধ হয়ে এবং ওই ছাত্রীর কাছে নিজের হিরোইজম দেখাতে তার শিক্ষকের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে গত ২৫ জুন ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প স্কুলে নিয়ে আসে এবং তা শ্রেণি কক্ষের পেছনে লুকিয়ে রাখে ও তার শিক্ষককে আঘাত করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। পরবর্তী সময়ে কলেজ মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন শিক্ষক উৎপল কুমারকে মাঠের এক কোণে একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিতু তার কাছে থাকা স্ট্যাম্প দিয়ে অতর্কিতভাবে বেধড়ক আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাভারের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন উৎপল কুমার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎপল কুমারকে পেটানোর পর জিতু এলাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের আশঙ্কায় সে রাতে এলাকা ত্যাগ করে। প্রথমে সে বাসযোগে মানিকগঞ্জ গিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত যাপন করে। পরদিন সে তার অবস্থান পরিবর্তন করে আরিচা ফেরিঘাটে পৌঁছায় এবং ট্রলারযোগে নদী পার হয়ে পাবনার আতাইকুলাতে তার এক পরিচিতের বাড়িতে আত্মগোপন করে। কিন্তু পরদিন ভোরে সে আবারও তার অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য আতাইকুলা থেকে বাসযোগে কাজিরহাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে লঞ্চযোগে আরিচাঘাট পৌঁছায় এবং সেখান থেকে বাসযোগে গাজীপুরের শ্রীপুরে ধনুয়া গ্রামে আত্মগোপন করে। সেখান থেকেই র্যাব-১ জিতুকে গ্রেফতার করে।
জিতুর পরিবার কর্তৃক উৎপলের পরিবারকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উৎপলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এমন কোনো হুমকি-ধমকির বিষয়ে তথ্য পাইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।