Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে চলছে জেলেদের মাছধরার মহোৎউৎসব

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২২, ৮:২২ পিএম

কুয়াকাটা সংলগ্নবঙ্গোপসাগরে ২১ মে থেকে চলছে মাছধরার উপর ৬৫ দিনের অবরোধ। এ অবরোধ উপেক্ষা করে চলছে জেলেদের মাছ শিকারের উৎসব। নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, থানা পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের সামনেই প্রকাশ্যেই মাছধরা, বিক্রি এবং বাজারজাত করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যেন চলছে আইন অমান্য করে মাছ ধরার মহোৎসব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আড়ৎঘাটে ইলিশ,তপসী, পোয়া, লইট্যা,ডাডিসহ সামুদ্রিক মাছের স্তুপ। আহরিত মাছের চলছে বাছাই প্রক্রিয়া। যথারীতি হাঁক ডাকে হচ্ছে মাছগুলো ক্রয় বিক্রয়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওইসব মাছ প্রেরণে প্রক্রিয়াজাতকরণসহ পরিবহনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। দেশের সমুদ্র সীমানায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় সমুদ্রে মাছ শিকার, সংরক্ষণ ও বিপনন সব কিছুই চলছে প্রকাশ্যে দিবালোকে। একই অবস্থা মহিপুর সরকারি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রসহ কুয়াকাটা পৌর মার্কেট, ধুলাসার, বাবলাতলা, বালিয়াতলী, চরচাপলী, আশাখালীও গঙ্গামতি এলাকার সামুদ্রিক মাছের আড়ৎঘাটে।

৬৫ দিনের এ দীর্ঘ সময়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে না যাবার জন্য জেলেরা সরকারি সহয়তা আওতায় রয়েছে। বাস্তবে কিছু প্রভাবশালী ফিশিং ট্রলার মালিকরা জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমিতির সভাপতি নুরু মাঝি বলেন, আড়তগুলোতে যেসব মাছ বিক্রি হচ্ছে সবই সমুদ্রের মাছ। যা নদীর মাছ বলে চালিয়ে নিচ্ছে আড়তদার, প্রশাসন এবং মৎস্য কর্মকর্তারা। জনবল ও নৌযানের স্বল্পতার অজুহাত ছাড়া কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, নিজামপুর কোষ্টগার্ড, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন তৎপরতা না থাকায় সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ সামুদ্রিক মাছের আড়তঘাটে দেদারাচ্ছে বিকিকিনি হচ্ছে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ।

আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শাকিল আহম্মেদ বলেন, ভৌগলিক আবস্থানের কারণে জেলেদের আহরিত মাছ চিহিৃত করা যাচ্ছে না। কোনটি সমুদ্রের এবং কোনটি নদীর। জেলেসহ দাদন ব্যবসায়ীরা নদীর মাছ বলেই বিএফডিসি পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন।

কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন সমুদ্রে মাছ ধরায় পৃথক অভিযানে অসাধু জেলেদের কারাদন্ডসহ আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজাহারুল ইসলাম বলেন, নতুন যোগাদান করেছি। নিষোধাজ্ঞা কার্যকর করতে মাঠ পর্যায় কাজ করার কথা উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ