গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অনতিবিলম্বে কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আগামী ঈদুল আযহার আগে হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আটককৃত আলেম উলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। কারাবন্দি আলেমদের অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হুইলচেয়ারে আদালতে আসা অনুমতি দিতে হবে। এছাড়াও আলেম-উলামাদের অনেকে গ্রেফতার থাকার কারণে তাদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার দপ্তরে এক বৈঠক হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ পাঁচ দফা দাবিতে এসব কথা বলেন।
বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া ও হেফাজত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন, নায়েবে আমীর মাওলানা ফুরকানউল্লাহ্ খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেফাজতের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোতে আরো বলা হয়, ভূঁইফোড় সংগঠন গণকমিশন দেশের ১১৬ আলেম ও ১০০০ হাজার মাদরাসার নামের লিস্ট তৈরি করেছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই এটি দেশের আলেম উলামা ও মসজিদ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা কথিত শ্বেতপত্রে দেশের প্রায় সকল মাদরাসাকে জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত করেছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে কথিত এই শ্বেতপত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং গণকমিশন নামের কথতি এই সংগঠনের লোকদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
আমরা জানতে পেরেছি শিক্ষা আইন-২০২২ এর খসড়া চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এই শিক্ষা আইনে যেহেতু কওমি মাদরাসাসহ সকল ধরনের শিক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তাই আমাদের দাবি হচ্ছে, খসড়া কমিটিতে কওমি মাদরাসার ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধিত্ব যেন থাকে।
সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আপনাদের কয়েকজন নেতা কারাগারে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে আমি বিষয়টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো। গণকমিশনের শ্বেতপত্র বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এর কোন কার্যকারিতা নেই এবং এটা আর অগ্রসর না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি সর্ম্পকে মন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আমরাও এই ঘটনায় ব্যথিত হয়েছি। ঐ সময়টায় আমি অসুস্থ ছিলাম। আপনাদের দাবি আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।