মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, নওয়াজ শরীফ ও আসিফ আলী জারদারি পরিবারের অর্ধেক ‘লুণ্ঠিত সম্পদ’ দেশে ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা যেতে পারে। দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে জাতিকে একত্রিত করার লক্ষ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল আয়োজিত টার্ন অ্যারাউন্ড কনফারেন্স (টিএসি) প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার তার সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘আপনি [সরকার] জারদারি এবং শরীফের ‘লুট করা’ সম্পদের অর্ধেক দেশে ফিরিয়ে এনেও দেশকে সঙ্কট থেকে বের করে আনতে পারেন’। অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আগাম নির্বাচনও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ইমরান আগামী শনিবার সন্ধ্যায় সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার জন্য দলীয় সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি একই দিনে ইসলামাবাদের প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন।
‘মানুষ মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে। তারা [সরকার] বিক্ষোভ দমন করতে শক্তি প্রয়োগ করছে, কিন্তু আপনি নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের থামাতে পারবেন না’ -তিনি যোগ করেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, শাসকরা অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে, কারণ ‘তারা জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের জন্য নয় শুধুমাত্র এনআরও পেতে তাদের মন ব্যবহার করছে’।
ইমরান দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য গত পিএমএল-এন সরকারকে দায়ী করে বলেছেন, তারা আমদানি করা জ্বালানিতে চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। ‘এখন তাদের কাছে কয়লা বা এলএনজি আমদানি করার মতো অর্থ নেই’।
তিনি আবারও বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ এবং বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও তার সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ায়নি এবং জনগণকে মুদ্রাস্ফীতি থেকে রক্ষা করেছে।
শ্রীলঙ্কা সঙ্কটের উদাহরণ তুলে ধরে পিটিআই প্রধান বলেন, পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তার সরকারকে পতনের মাধ্যমে যা তিনি বলেন যে, অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে নিয়ে গেছে।
তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি [সাবেক অর্থমন্ত্রী] শওকত তারিনকে ‘নিরপেক্ষদের’ [প্রতিষ্ঠানের নির্লিপ্ত রেফারেন্স] বলতে বলেছিলাম যে, দেশকে এ অস্থিতিশীলতার জন্য ভারী মূল্য দিতে হবে। ‘আমরা অনেক কষ্টে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠছিলাম’।
আসন্ন পাঞ্জাব উপ-নির্বাচন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইমরান বলেন, সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজের নেতৃত্বাধীন প্রাদেশিক সরকার টিকে থাকবে না।
নির্বাচন কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করে ইমরান পুলিশ ও আমলাদের সরকারের বেআইনি নির্দেশ না মানার বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন, তাদের কাজের জন্য তারা আইনি পরিণতির মুখোমুখি হবেন।
আগের দিন, ইমরান খান বলেছিলেন যে, পিটিআই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কঠোর শর্ত, দুর্বল অর্থনীতি এবং কোভিড-১৯ সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির বোঝা জনগণের কাছে স্থানান্তরিত করেনি। তিনি বলেন যে, ‘অভিজ্ঞ চোরদের’ অধীনে দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যত ততটাই অন্ধকার হতে চলেছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি একটি বৈঠকের সময় আসে যেখানে দলটি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনগণের উপর মূল্যস্ফীতির প্রভাব এবং জাতীয় পরিষদে সরকারি মিত্রদের বক্তৃতা নিয়ে আলোচনা করেছে। বৈঠকে ২ জুলাই ফেডারেল রাজধানীতে মুদ্রাস্ফীতি বিরোধী সমাবেশ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।