পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশিদের কথায় কখনো লাফানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিদেশিদের কথায় আমাদের দেশের অনেকে লাফালাফি করেন। বিদেশিদের কথায় কখনো লাফানো উচিত নয়। তারা অনেক সময় নিজেদের স্বার্থে ফন্দি ফিকির করে। গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আলোচনা সভায় তিনি বিদেশ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
বিশ্বব্যাংকে উদ্দেশ করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে সেই সময় কোনো কোনো বিদেশি সংস্থার লোকজন সেতু আদৌও হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। আর তাদের কথায় সেসময় দেশের মধ্যেও কিছু লোক লাফালাফি করেন। তবে পদ্মা সেতু তৈরির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা চাইলেই করতে পারি। বিদেশিরা অনেক সময় নিজেদের স্বার্থে ফন্দি ফিকির করেন। তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিদেশিদের কথায় কখনো লাফানো উচিত নয়। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের আত্মপরিচয়। আমাদের আত্মবিশ্বাস, বাংলাদেশের গৌরবের অধ্যায়। তবে এই সেতু তৈরির সময় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেয় করার চেষ্টা হয়েছিল। শেষে প্রমাণ হলো প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই সঠিক।
বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসিভুক্ত অনেক দেশই বিদেশি সংস্থার ঋণের বেড়াজালে পড়েছে। পদ্মা সেতু তৈরির জন্য আমাদেরও এই বেড়াজালে পড়তে হয়েছিল। তবে সব বেড়াজাল ভেদ করে সেতু তৈরি সম্ভব হয়েছে।
বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, যেকোনো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন সাহস ও জনকল্যাণ। প্রধানমন্ত্রীর সাহস ও জনকল্যাণ প্রচেষ্টা ছিল। এটা না থাকলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পদ্মা বাস্তবায়ন ছিল লিটমাস টেস্ট। বাংলাদেশ সেটাই পাস করেছে। পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশের নতুন ব্রান্ডিংয়ের নাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, পদ্মা সেতু একটি মেগা ফিজিক্যাল স্ট্রাকচার। এখন আমাদের প্রয়োজন মেগা সোশ্যাল স্ট্রাকচার বাস্তবায়ন। সেটা সম্ভব হলে দেশের মানুষ আরও সুফল পাবে।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।