পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেরি মানেই ঘাটে ভোগান্তি, ধীরগতির নদী পারাপার, ঘন কুয়াশা, ঝড় ও দুর্যোগে যাত্রা বাতিল এবং বেশি স্রোত অথবা নদীর নাব্যতাসঙ্কটে ফেরি অচল। ঈদ কিংবা বড় কোনো ছুটিতে ভোগান্তি বাড়বে কয়েক গুণ। আর তাই এক সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার সর্বনাশা হিসেবে ধরা হতো ‘পদ্মা’ নদীকে। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা এখন রূপ নিয়েছে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আশীর্বাদ হয়ে। পদ্মা সেতুতে গাড়ি চালুর প্রথম দু’দিনেই সুফল পেয়েছেন এ পথের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় যাতায়াতকারীরা। আগের তুলনায় অর্ধেক বা তার চেয়ে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। প্রথমবার পদ্মা সেতুতে ওঠা ও কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো-এ দুই আনন্দে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। অথচ একসময় সড়ক যোগাযোগে পদ্মা ছিলো একটি বড় বাধা। দুইপারে যানজট ও দুর্ভোগে রূপ নিতো ভয়াবহ। অনেক অসহায় মানুষ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করার আর্তনাদ। মুসলমানদের দুই ধর্মীয় উৎসব ঈদের সময় লাখো মানুষের প্রতিবন্ধকতার নাম ছিল এই পদ্মা। নাড়ীর টানে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগের চিত্র অবাক দৃষ্টিতে দেখতে হতো বিশ্ববাসীকে। ফেরিতে উঠতে দিনের পর দিন ঘাটে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হতো যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাককে। যে পদ্মার দুই পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিনের পর দিন পার করতে হতো সে পদ্মাই এখন মাত্র ৫ মিনিটের পথ। উৎসবের আমেজে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ এখন পার হচ্ছে পদ্মা।
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর রোববার প্রথম দিন সর্বসাধারণের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হলে ওই দিনেই বেশ কয়েটি অপ্রীতিকর ঘটনা ও দুটি দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হন। এর পর থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। গতকালও দেখা গেছে নানা কৌশলে মোটরসাইকেলের চালকরা পিকআপ দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার করার চেষ্টা। অবশ্য এতে বাধা দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে অবরোধ করেছেন মোটরসাইকেলের চালকরা। গতকাল মোটরসাইকেলবাহী পিকআপ টোল প্লাজা থেকে ফিরিয়ে দিলে তারা এ অবরোধ করেন। এ সময় প্রায় ছয় কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। পরে সেনাবাহিনী সদস্যরা এসে তাদের সরিয়ে দিলে প্রায় আধা ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সকাল থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ছিল। তবে মোটরসাইকেলগুলো পিকআপে করে পার করছিলেন চালকরা। হঠাৎ দুপুরের দিকে পিকআপে করে মোটরসসাইকেল পারাপারও বন্ধ করে দেন। এ সময় মোটরসাইকেলের চালকরা রাস্তা অবরোধ করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন।
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, পিকআপে মানুষ বা মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে না। আমাদের কাছে ভারী মালামালসহ পিকআপ যেতে দেয়ার অনুমতি রয়েছে। তাই আমরা মানুষ ও মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ রেখেছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, পদ্মা সেতু পারাপারে যাত্রী সাধারণকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পদ্মা সেতু অবকাঠামো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা এবং দেশের এক বড় সম্পদ। এর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। সেতু পারাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যে সব নির্দেশনা জারি করেছে তা যথাযথভাবে পালন করে শৃঙ্খলা বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী খান বলেছেন, পদ্মা পাড়ি দিতে ফেরিঘাটে ট্রাককে সাধারণত আগে পাঁচ-সাত ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হতো। মাঝেমধ্যে দুই থেকে তিন দি লাগতো। তিনি বলেন, অপেক্ষা মানেই চালক-সহকারীর বাড়তি খরচ। পণ্য ও মালিকের ক্ষতি। এখন ৬ মিনিটে পদ্মা নদী পার হওয়া যাচ্ছে। পরিবহন খাতের মানুষ হিসেবে এটা বড় পাওয়া। আর ‘পদ্মা সেতু’ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এক আশীর্বাদ।
সূত্র মতে, ঢাকার সঙ্গে মাওয়া হয়ে বরিশালের দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটারের মতো। কিন্তু সেখান থেকে কোনো কৃষিপণ্য নিয়ে রওনা দিলে পদ্মা পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। নদীটি পাড়ি দিতে কত সময় লাগবে, তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। স্রোত বেশি হলে ফেরি বন্ধ থাকত, শীতের দিনে কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকত, নদীর নাব্যতা সঙ্কটে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটত। ওই অঞ্চলে ঢাকাকে কেন্দ্র করে তেমন কোনো পণ্যবাণিজ্য গড়ে ওঠেনি। এখন সব বাধা কেটে গেছে। পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু ইতোমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো যানবাহন চলছে। এত দিন যেটা ছিল স্বপ্ন, সেটা এখন বাস্তবতা।
পদ্মা সেতুর জন্য জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছিল, সেখানে উঠে আসে যে পদ্মা সেতুর কারণে দেশের সার্বিক জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) বাড়বে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
পদ্মার যোগাযোগ ব্যবস্থা কেবল দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, ছড়িয়ে পড়বে সারাবিশ্বে। বিশেষ করে এশিয়ান হাইওয়ের যে স্বপ্ন দেখছে এশিয়াভুক্ত দেশগুলো, তাদের স্বপ্নের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এখন পদ্মা সেতু, সে কথা সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সঙ্গে এশিয়ান হাইওয়ে সম্পর্কিত একটি গ্রুপে যুক্ত হয়। এই মহাসড়কের মাধ্যমে এশিয়ার ৩২টি দেশের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থা সুগম হবে, তৈরি হবে ১ লাখ ৪৫ হাজার কিলোমিটারের বিশাল সড়ক পথ। এই সড়ক পথের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রুট যাবে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে। এশিয়ান হাইওয়ে-১, এশিয়ান হাইওয়ে-২ ও এশিয়ান হাইওয়ে-৪১ রুটের ১ হাজার ৭৭১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বিশাল সড়কপথটির অবস্থান হবে বাংলাদেশের মানচিত্রে। এশিয়ান হাইওয়ে-১ এর রুট হচ্ছে ভারতের আসাম হয়ে সিলেট, ঢাকা, নড়াইল, যশোর ও সবশেষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। এই পথে সেতু হয়ে যাওয়ায় এক মহাসড়কে দ্রুততম সময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করা যাবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই হাইওয়ের রুটে বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে সিঙ্গাপুর ও ইউরোপে যাওয়া যাবে। এশিয়ার রেলপথের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের স্বপ্নও পূরণ হচ্ছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে। এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে এশিয়ার ২৮টি দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে।
বিশিষ্টজনদের মতে, পদ্মা সেতুটি উদ্বোধনের সঙ্গে-সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় খুলেছে নতুন দিগন্ত। পাশাপাশি খুলে গেছে এ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বহুমুখী অর্থনৈতিক দ্বার। পাল্টে যাবে সামগ্রিক চেহারা। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, কমে আসবে বেকার সমস্যা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে সহায়ক এটি। গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে রাজধানী ঢাকা। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে বরিশাল যাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টায়, খুলনা ৩ ঘণ্টায় আর ফরিদপুর যেতে সময় লাগছে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট। ৬ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে মাত্র ৬ থেকে ১২ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে মাওয়া প্রান্তে। এরপর ৪০ মিনিটের মধ্যে গুলিস্তান কিংবা যাত্রাবাড়ী।
যশোর, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে উন্নয়নের নানা কার্যক্রম। সরকারি ও ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হবে নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবহন ব্যবসায়ীরা চালু করেছেন নতুন নতুন গাড়ি। রাজধানী থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছা যাচ্ছে দক্ষিণের ২১ জেলা। বেনাপোল স্থল বন্দর, ভোমরা স্থল বন্দর, মংলা বন্দর, পায়রা বন্দর পৌঁছানো যাচ্ছে সহজেই। এ ছাড়াও, কুয়াকাটা-সুন্দরবনসহ পর্যটনখাতেও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দ্বীপ জেলা ভোলার অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়ন আরও এগিয়ে যাবে। দ্বীপজেলা ভোলা হবে দেশের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক জেলা। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও আনবে অপার সম্ভাবনা।
পদ্মা সেতু ঘিরে শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুরের দুই পাড়ের সংযোগ সড়কের উভয় পাশেই পর্যটকদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে বিনোদনকেন্দ্র, খাবারের দোকান, চা-কফি শপ, খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ। সুন্দরবনের স্পটগুলোতেও যাওয়া যাবে খুব সহজেই। পাশাপাশি যশোর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরের পর্যটন স্পটগুলোও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গার চাররাস্তা মোড়ে গোলচত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় কয়েকটি স্পট। একই অবস্থা মাদারীপুরের শিবচরেও। এরপর পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপটে বিভিন্ন জেলা থেকে সুফলভোগী যাত্রীদের মাঝে দেখা গেছে উচ্ছ্বাস।
বাস যাত্রীরা বলছেন, পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার প্রথম দিন রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় বরিশালে পৌঁছেছে যাত্রীবাহী বাস। এছাড়া ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মাত্র ৫ ঘণ্টায় পৌঁছানো যাচ্ছে। মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোলে ভিড় থাকায় কিছুটা দেরি হলেও ৩ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালে পৌঁছানো যাচ্ছে। ঢাকা থেকে ভোর সাড়ে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে বরিশালে পৌঁছে গেছে বাস। আর মাত্র ৬ থেকে ৭ মিনিটে বাস পদ্মা সেতু পার হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেছেন, অনেকগুলো বছর সেতুর নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত। এর প্রতিটি সিমেন্ট-বালুকণার সঙ্গে শ্রম-ঘাম মিশে রয়েছে। গত কয়েকটি বছর আমাদের সব কাজকর্মই ছিল এই সেতুকে ঘিরে। সেই সেতুর কাজ শেষ করে হস্তান্তর করা হয়েছে। কত স্মৃতি আমাদের আছে এই সেতুকে ঘিরে। সেতুটি আমাদের কাছে সন্তানের মতো। এজন্য আমরা এখানে যারা কাজ করছি তারা সবাই আবেগতাড়িত। সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেতু কর্তৃপক্ষের সীদ্ধান্ত অনুযায়ী দেখভাল করা হবে।
পদ্মা সেতু ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট ও সেফটি টিমের সমন্বয়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রবিউল আলম গতকাল পদ্মা সেতু জাজিরা টোল প্লাজায় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি (বিবিএ) ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। পদ্মা সেতু দেশের সম্পদ। এই সেতুর ওপর যানবাহন থামানো ও যানবাহন থেকে নামা বন্ধ করতে হবে। উদ্বোধনের পর থেকে নিরাপদে যান চলাচলের জন্য বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা পদ্মা সেতু ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট ও সেফটি টিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অনেকে যানবাহন থেকে নেমে সেতুর সৌন্দর্য অবলোকন ও ছবি-ভিডিও ধারণ করছে। এতে সেতুর ওপর তীব্র যানজটসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।