বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমণ পুনরায় অবনতিশীল। চলতি মাসের প্রথম ২৭ দিনে এ অঞ্চলের ৬ জেলায় নতুনকরে ৭৭ জনের দেহে করেনা পরিজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে করোনার শুতিকাগার বরিশাল মহানগরীতেই আক্রান্ত ৩০ জন। এমনকি এ সময়ে কোন কোন দিন শনাক্তের হার ৪৫% পর্যন্ত পৌছেছে। কিন্তু এরপরেও এ প্রাণঘাতি রোগ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ স্থানীয় সরকার প্রশাসন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের নুন্যতম কোন প্রতিরোধ কার্যক্রম নেই। এমনকি আসন্ন ঈদ উল আজহায় ঢাকা সহ সারা দেশ থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখি জনশ্রোত করোনা সংক্রমনকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা নিয়েও শংকিত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন।
গত ১জুন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে সর্বমোট করেনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৭০২ জন। যারমধ্যে মহানগরীতে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার সহ বরিশাল জেলায়ই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ২২৩। ২৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ জন বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ২৬৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে মহানগরীতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন ।
গত ২৭ দিনে দ্বীপজেলা ভোলাতে ৭ জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৭২ জনে। এসময়ে পটুয়াখালীতেও নুতন ৬জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৭ জনে উন্নীত হয়েছে। পিরোজপুরে গত ২৭ দিনে নতুন ৫ জন সহ মোট আক্রন্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৩১১ জনে উন্নীত হয়েছে। বরগুনাতেও নতুন ৯জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৬৭৭ জন। আর এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝলকাঠীতে দুজন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৬০৬ জনে উন্নীত হয়েছে।
গত মার্চ মাসে এ অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২০ জন। মৃত্যু হয় দুজনের। তবে এপ্রিলে ৭ জনের দেহে সংক্রমন শনাক্ত হলেও কোন মৃত্যু ছিলনা। মে মাসে সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলে মাত্র ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও এরমধ্যে বরিশাল মহানগরীতে দুজন ও ভোলাতে ১ জনের দেহে করেনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যা ছিল ২০২১-এর মধ্য মার্চে দক্ষিনাঞ্চলে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পরে সর্বনিম্ন সংক্রমন। চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে কোন কোন করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও ১৫ জুন থেকেই পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়েছে। ১৫ জুন থেকে গত ১২ দিনে ৭৭ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণাচলে ।
মহানগরীর সুবাদে বরিশালে ইতোমধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ২৬৬ জনে উন্নীত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। এ তালিকার মধ্যে মহানগরীতেই সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশী মানুষ আক্রান্ত হবার সাথে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬% এ নগরীতে বাস করলেও করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার যথাক্রমে প্রায় ২৫% ও ১৮%।
দ্বিতীয় সর্বাধীক আক্রান্ত জেলা ভোলাতে ৭ হাজার ৮৭২ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। তৃতীয় স্থানের পটুয়াখালী জেলায় ৭ হাজার ৪৮ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৩১১। মারা গেছেন ৮৩ জন। দক্ষিণাঞ্চলের সর্বাধীক মৃত্যু হারের বরগুনাতে ৪ হাজার ৬৭৭ জন আক্রান্তের মধ্যে ৯৯ জন মারা গেছেন। আর সবচেয়ে ছোট জেলা ঝলকাঠীতে নমুনা পরিক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার সর্বাধীক। জেলাটিতে ৫ হাজার ৬০৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ৭১ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।