পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীকে ভারতে গ্রেফতার ও বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতের পুলিশ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকালে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিলেট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাগীব আলীকে ভারতে গ্রেফতারের পর বিকাল ৩টায় সিলেটের বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। তিনি জানান, রাগীব আলীকে আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাগীব আলীকে ভারতের করিমগঞ্জে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘রাগীব আলীর বিরুদ্ধে যখন তারাপুর চা বাগান দখল সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার ভিসার মেয়াদ এক মাসেরও কম ছিল। এক্ষেত্রে বিনা ভিসায় ভারতে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকতে পারে।’
প্রসঙ্গত, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং প্রতারণার আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে- মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। এছাড়া মামলার আসামি আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ গত ১০ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১২ নভেম্বর রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার আরেক আসামি পঙ্কজ কুমার গুপ্ত জামিনে রয়েছেন। ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার উপর তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আশির দশকে জালিয়াতির মাধ্যমে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এ নিয়ে চলা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পিপি মিসবাহউদ্দিন সিরাজ জানান, আগামী ৪ ডিসেম্বর রাগীব আলীকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।