Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানদণ্ডকে সমুন্নত রাখতে ২৫টি রিক্রুটমেন্ট সংখ্যা বেঁধে দেয়া হয়েছে

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার-------মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

মানবপাচারসহ অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর মানদণ্ডকে সমুন্নত রাখার জন্য মালয়েশিয়া জনশক্তি আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানীর সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। বাংলাদশ থেকে রিক্রুটমেন্ট বিষয়ক এজেন্সির সংখ্যা সীমিত রাখার মাধ্যমে অনৈতিক রিক্রুটমেন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক হবে। বাংলাদেশে কেন ২৫টি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানির সংখ্যা বেঁধে দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার দ্য সানডে স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান।
মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, অভিবাসন একটি বৈশ্বিক ও জটিল ইস্যু। এ ইস্যুটির ব্যবস্থাপনা করতে হবে যথাযথভাবে। বর্তমানে এক প্রতিকূল অবস্থানে রয়েছে তার দেশ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বার্ষিক মানবপাচার বিষয়ক রিপোর্টে এমন অবস্থানে তারা। এ বিষয়টি সূক্ষভাবে দেখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই রিপোর্টে সব সময় বলা হয় যে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত রিক্রুটমেন্ট ফি আদায় করা হয়। এক্ষেত্রে একটি ক্লাসিক উদাহরণ হলো, বাংলাদেশি শ্রমিকরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে রিক্রুটমেন্ট ফি দিয়েছেন তা তাদেরকে ফেরত দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি কোম্পানিকে অনুরোধ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
মন্ত্রী সারাভানান বলেন, রিক্রুটমেন্ট বিষয়ে সুস্থ ও নৈতিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি সমর্থন করে মালয়েশিয়া। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর নির্দেশনা অনুসরণ করে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় মালয়েশিয়া। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন খরচ নেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় শ্রমশক্তির দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তির অধীনে। এ বিষয়ে আগেই সমঝোতা করে নেয়া হয়। মন্ত্রী সারাভানান বলেন, এ মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে গৃহকর্মীর প্রথম ব্যাচ এসে পৌঁছাবে।
কেন বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির সংখ্যা সীমিত করার হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে মালয়েশিয়ার এ মন্ত্রী বলেন, সব সোর্স দেশের ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হচ্ছে। অনুরোধের কোটা পূরণের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন আমাদের নিয়োগকারীরা। মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে তা অনুমোদন পাওয়ার পর তাদের আবেদনকে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হবে। এরপরই তারা শ্রমিক নিয়োগের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ