পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের যুব সমাজ ও মেধা টিকিয়ে ব্যাপকভাবে ডোপ টেস্ট চালুর কাজ চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগে মাদকাসক্ত শনাক্ত করব ও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। যেকোনো মূল্যে আমরা দেশকে মাদকমুক্ত করব।
রোববার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত সব দেশই আজ এ সমস্যায় আক্রান্ত। আমাদের দেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিকভাবে বিশ্বের প্রধান দুটি মাদক উৎপাদনকারী বলয়ে অবস্থিত হওয়ায় এটি মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে যুব সমাজের একটি অংশ মেধা ও কর্মশক্তি হারিয়ে ফেলে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ভয়ঙ্কর সব মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে। ভারতের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। আমরা তাদের সব সময় অনুরোধ করছি। আমাদের অনুরোধে তারা ফেন্সিডিল কারখানা সরিয়ে নিয়েছে। যে দুই-একটি আছে তাও ধ্বংস করে দিচ্ছে। মিয়ানমার থেকে মাদক আসছে। এসব মাদক বন্ধ করতে আমরা সেখানকার সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছি। তারা মাদক চোরাচালান বন্ধে অনেক কিছুই বলে, কিন্তু কিছুই করেন না।
তাই আমরা আমাদের সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) শক্তিশালী করছি। আমাদের কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী করছি। মাদক যাতে দেশে না ঢুকতে পারে সেদিকে নজরদারি রাখছি। সীমান্ত এলাকায় সেন্সর বসানোর ব্যবস্থা করছি, যাতে কেউ এলে বা গেলে তার অস্তিত্ব আমরা টের পাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান রয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৭.৫ থেকে ৮ মিলিয়ন মাদকাসক্ত রয়েছে। কারো কারো পরিসংখ্যানে আরও বেশি। মোট মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত। মাদকাসক্তদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ আবার যৌন অপরাধী। জেলখানায় যত মানুষ আছে এর বেশিরভাগই মাদক পাচারকারী কিংবা কারবারি। এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদকসেবীদের ৮০ শতাংশই যুবক। প্রধানমন্ত্রী সে কারণেই মাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন।
আমরা সরকারিভাবে বলেছিলাম প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করতে পারবে না। এখনো কিন্তু এটা মেনে চলছে। সমীক্ষা বলছে ৮ শতাংশ ধূমপায়ী কমেছে, কিন্তু আমার মনে হয় আরও কমেছে। সবাই মিলে কাজ করলে আমরা এখান থেকে পরিত্রাণ পাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।