নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্টে ক্রিকেটে ধারাবাহিক ব্যর্থ বাংলাদেশ। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের সঙ্গেও পেরে উঠছে না বাংলাদেশ? কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রধান রাসেল ডমিঙ্গো দেখছেন শেকড়ের দুর্বলতা। এদেশের টেস্ট সংস্কৃতি এখনও প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছতে পারেনি বলেই মনে করেন বাংলাদেশ কোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে নিজেদের তিনি পিছিয়ে রাখছেন এখানেই।
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২২ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেব স্বীকৃতি পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্টে প্রায় দুই যুগের পথচলায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, বারবার হোঁচট খেয়ে এগিয়েছে এই দল। গৌরবের মুহূর্ত এসেছে কমই।
সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বললেন ডমিঙ্গো টেস্টে ব্যর্থতা নিয়ে বলেন,‘পুরোপুরি বলা কঠিন (বাংলাদেশের ঘাটতি কোথায়)… টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি আছে। আশি-নব্বইয়ের দশকে তারা বিশ্বের সেরা টেস্ট দল ছিল। তারা তাই জানে, টেস্ট ম্যাচ কীভাবে খেলতে হয়। ওদের আইকনিক অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা টেস্ট ম্যাচে ভালো করেছেন। আমাদের টেস্ট ম্যাচ সংস্কৃতি এখনও সেখানেই নেই, যেখানে থাকা উচিত।”
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডমিঙ্গো এ দিনের বোলিং নিয়ে হতাশার কথা তো বললেনই, তার কণ্ঠে উঠে এলো দলের ব্যাটিং নিয়ে হতাশাও।
“ব্যাটিং ও বোলিংয়ে এই মুহূর্তে গুরুতর জিজ্ঞাসা আছে আমাদের। কারণ এটা কোনোভাবেই আড়াইশ রানের উইকেট নয়। শেষের ওই ৩০ রানের জুটি না হলে ১৯০ রানে অলআউট হতাম আমরা। ব্যাট হাতে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স আমরা দেখা পাচ্ছি না এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখিয়ে দিচ্ছে, কেন তারা আমাদের চেয়ে ভালো। ওদের একজন সেঞ্চুরি করেছে, ওরা বড় স্কোর করছে। বোলিংয়ে ওরা জুটি গড়ে বোলিং করেছে, ব্যাটিংয়েও জুটি গড়ে লম্বা সময় উইকেটে থেকেছে।”
বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যাটসম্যান নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ফর্মে নেই তারা বেশ কিছুদিন ধরেই। যারা ভালো শুরু করছেন, তারা বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না। তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ২২, ২৯ ও ৪৬ রানে, অথচ থিতু হওয়ার পর তার কাছে দলের দাবি থাকে বড় ইনিংস। সাকিব আল হাসান, লিটন দাসরা ফিফটি পেলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস।
ডমিঙ্গো এখানেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বললেন, কাইল মেয়ার্সকে দেখে বড় ইনিংস খেলা শিখতে। তিনি বলেন,‘আমাদের বেশ কজন ক্রিকেটার এখন ফর্ম ও ছন্দ খুঁজে ফিরছে। এখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় লম্বা সময় ব্যাট করা। ৩০-৪০ রানের ইনিংস অনেক হচ্ছে, দু-একটা ফিফটি হচ্ছে। কিন্তু কাইল মেয়ার্স যেমন ১২০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তেমন বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারছে না। দলের রান ২৩০ আর ৪০০ হওয়ার মধ্যে মূল পার্থক্য এখানেই।”
এছাড়া তিনি বলেন,‘‘ মেয়ার্সের মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে আমাদের কারও। গত বছর ওরা আমাদের বিপক্ষে ৪০০ রান তাড়া করেছে চট্টগ্রামে, মেয়ার্স তখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমাদের কেউ এখন তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। মেয়ার্সকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে। টেস্ট ম্যাচ অনেক কঠিন। এরকম ভালো ব্যাটিং করতে না পারলে ভালো দলগুলি শাস্তি দেবে এবং আমাদেরকে এখন সেই শাস্তি পেতে হচ্ছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।