গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কুরবানী না করে সেই টাকা বন্যার্তদের মধ্যে দান করে দেয়ার বিধান কতটা ইসলামসম্মত এমন প্রশ্নের উত্তরে মুফতি আবদুল হাই মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, কুরবানী না করে দান করে দেয়ার সুযোগ ইসলামে নেই। আলোকসজ্জা, লাইটিং, পোস্টারিং, ফেস্টুন, আউটিংয়ের নামে বিভিন্ন নামীদামী রেস্টেুরেন্টে গিয়ে অমূলক ব্যয় বন্ধ করা হোক।তিনি তার ফেসবুক লাইভে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফালতু খরচের বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য নেই। বক্তব্য কি? ইসলামের বিধানকে ছোট করার প্রচেষ্টায় কুরবানী না দিলে চলবে কি না। কুরবানী দান করতে শিখায়, ভোগ করতে নয়। আর আপনি বলছেন, আমাদের কুরবানী আমরা দান করে দিই? আল্লাহ বলেছেন, ফাসাল্লিলি রাব্বিকা অনহার। অর্থাৎ আপনি নামাজ কায়েম করুন এবং কুরবানী করুন। কুরবানীর গোসত একাই খেতে হয় না। অন্যকে দিয়ে খেতে হয়। ইমানদার সকলকে নিয়ে খায়। যার পড়শী না খেয়ে থাকে, সে ইমানদার নয়। খাসীর গোশত তো তুলতে তুলতে ১০০০ টাকায় নিয়ে এসছেন। গরুর গোশত নিয়ে এসছেন সাড়ে ৭শ টাকায়। আমাদের হিন্দু ভাইয়েরাও তো খাসীর গোশত কিনে খেতে পারে না।
তিনি বলেন, কুরবানী না করে দান করার প্রসঙ্গটি হলো ইসলামের বিধানকে একটা সিস্টেমের মধ্যে ফেলার মতলবি কথাবার্তা।কুরবানীও এক রকম দান। আপনার ওয়াজিব কুরবানী করার পর বাকীগুলো আপনি দান করেন। কোনো সমস্যা নেই।আপনি মানুষকে উদ্যোক্তা হতে বলবেন। স্বাবলম্বী হতে বলবেন। যারা গরু মোটাতাজা করছেন, তারা যাবে কোথায়? এটা একশ্রেণির লোক বুঝবেন না।সুতরাং খবরদার কুরবানী করবেন কুরবানীর জায়গায়, দান করবেন দানের জায়গায়। ইসলাম ত্যাগ শিখায়। ভোগ কম শিখায়। মহান আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করেন। আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।