গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশে নির্যাতিত মানুষের আইনগত প্রতিকারের পথ সংকুচিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। শনিবার (২৫ জুন) নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস (২৬ জুন) উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেন, দেশে নির্যাতিতদের নিরাপত্তার পথে সব বাধা দূর করতে ও তাদের সত্যিকার প্রতিকারে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
দলের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জাতিসংঘের নির্যাতন ও নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি বিষয়ক কনভেনশনে অন্তর্ভুক্তির সময় বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলো, দেশের বিরাজমান আইন ও বিধানের সঙ্গে সংগতি রেখে সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদের ১ উপধারা অনুযায়ী নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার নাগরিক ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের প্রতিকার প্রাপ্তি এবং ন্যায্য ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ যতটা সম্ভব পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েও নির্যাতিত মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া তথা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকারে ও প্রতিরোধে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। তাই নির্যাতনকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পন্থায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন কার্যকর করতে হবে।
‘বাংলাদেশ সংবিধানের ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের মালিক জনগণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকার ছিল বৈষম্য-শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতনমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমাদের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার ৫ ধারায় নির্যাতনকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
‘শুধু নির্যাতনই নয়, কারও প্রতি নিষ্ঠুর কিংবা অবমাননাকর কোনো আচরণ করা যাবে না বলেও এই ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে। নির্যাতন ফৌজদারী আইনেও একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। দেওয়ানী আইনে রাষ্ট্র নির্যাতিতদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য।’
‘নির্যাতনের ফলে একজন ব্যক্তি দৈহিকভাবে পঙ্গু হয়, মানসিকভাবে কাজের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও নির্যাতিতরা অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়, কখনো বা মৃত্যুর শিকার হয়। তাদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, ব্যক্তিত্ব লোপ পায় এবং তারা পরিবার ও সমাজের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।’
‘নির্যাতন সর্বোপরি উন্নয়নের পথে বাধা ও গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরুপ। কিন্তু তারপরও আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত নানাভাবে নির্যাতন অব্যাহত আছে।’
‘গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, শাস্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বর্তমান সরকার নির্যাতন প্রতিরোধে জাতিসংঘের দেওয়া অঙ্গীকার পূরণ করবে বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে।’
‘নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকার জনপ্রত্যাশা পূরণ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সেই সঙ্গে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকেও এই সরকার বেরিয়ে আসুক এমনটাই চায় দেশবাসী।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।