বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে। সড়ক ও বাড়িঘর থেকে পানি নামায় দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার ক্ষত। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেবল সুনামগঞ্জে ২ হাজার ২শ’ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গত ১৫ জুন থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় সিলেট ও সুনামগঞ্জে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বানের পানি দুই জেলায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। মহাসড়ক, উপজেলা সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে পানির তোড়ে ড্রেনের মতো গহীন হয়েছে। এসব সড়ক যেখানে সম্ভব ইট-পাথর দিয়ে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে এ কাজে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
তবে, সিলেট-ছাতক সড়ক এখনও পানির নিচে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভাঙার পাশাপাশি অনেকগুলো ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ছাতকের সুরমা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের দুই পাশে সাড়ে ৪শ’ মিটার সড়ক সম্পূর্ণ ওয়াশআউট হয়ে গেছে। একই অবস্থা সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর, মদনপুর-দিরাই-শাল্লা এলাকায়।
সড়ক ও জনপথ, সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বাসসকে জানান, সওজের আওতাধীন ৮টি সড়কের ১৮৪ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব সড়ক প্রাথমিকভাবে মেরামতের জন্য ২৬ কোটি টাকা এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য ৩১৬ কোটি টাকার বাজেট ঠিক করা হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে এখনও পানি নামেনি। পুরোপুরি পানি নামলে ক্ষয়ক্ষতির আসল চিত্র পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ‘দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছি। কিন্তু, ইট-বালু-পাথর সংকটের কারণে কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।’
স্থানীয় সরকার, প্রকৌশল অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৭৮৫টি সড়কের ২ হাজার কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১২০টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব সড়ক মেরামতে প্রাথমিকভাবে ১৫শ’ কোটি টাকা প্রয়োজন মনে করছি। এখনও বহু সড়ক পানির নিচে রয়ে গেছে। সেগুলো জেগে উঠলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, উপজেলার সবকটি সড়ক পানির নিচে ছিল। শ্রোতে সড়ক ভেঙে খাদের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। তিন ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।
সিলেট জেলায় এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও এলজিইডি এখনও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করতে পারেনি। সওজ, সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ১৫৬ কিলোমিটার সড়ক ১ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় এপ্রোচ সড়ক ভেঙে গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু ব্রিজ। সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের ১৯তম কিলোমিটারে ব্রিজের দুই পাশ বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সড়কটি মেরামত করে শুক্রবার থেকে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক এখনও বেশিরভাগ অংশে পানি রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সড়ক মেরামতের জন্য ৫০ কোটি এবং স্থায়ীভাবে মেরামতের জন্য দুইশ কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।