Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৩৪ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ২:৩৫ এএম | আপডেট : ৭:২৮ এএম, ২৫ জুন, ২০২২

প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারের পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেন্ট লুসিয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে দিনের খেলা শেষে বিনা ‍উইকেটে ৬৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।

শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিনের শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। যদিও রোচের করা দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতে পারতেন তামিম। কিন্তু তাকে এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ নিলেও আম্পায়ারস কলে বেঁচে যান তিনি।


এরপর জয়ের সঙ্গে ভালো জুটি গড়ে তুলেছিলেন তামিম। একদিকে জয় খেলছিলেন ধীরস্থিরভাবে, আরেকদিকে তামিম বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন দারুণ। কিন্তু গড়বড় বাঁধে অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপস বোলিংয়ে এলে। ইনিংসের ১৩তম ওভারে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বলে জয়কে বোল্ড করেন এই ক্যারিবীয়ান পেসার।

অনেক পরে ব্যাট চালানো জয় সাজঘরে ফিরে যান ৩১ বলে ১০ রান করে। ভেঙে যায় তামিমের সঙ্গে তার ৪১ রানের জুটি। এরপরও চালিয়েই খেলছিলেন তামিম। কিন্তু ফিফটি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। আলজেরি জোসেফের বলকে হাফ ভলি ভেবেছিলেন তামিম। কিন্তু লেন্থটা ছিল আরেকটু পেছনে। শট খেলত গিয়ে টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি। ব্ল্যাকউডের হাতে সহজ ক্যাচ ‍দিয়ে আউট হয়ে যান তামিম। সেশনের বাকিটা সময় ভালোভাবেই পাড় করেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়।

 

মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরে প্রথমে ফেরেন বিজয়। আট বছর পর টেস্ট দলে ফেরা এই ব্যাটারকে বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছিল শুরুতে। শটেও ছিল নির্ভরতা। কিন্তু ফিলিপের করা বল কিছুটা নিচু হয়ে গিয়ে লাগে বিজয়ের পায়ে. এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এর আগে ৩৩ বলে ২৩ রান করেন তিনি। এরপর অনেকটা একইভাবে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তও, কাইল মেয়ার্সের বলে। বলটা তার প্যাডে লাগার পর আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায় অল্প একটু লেগেছে স্টাম্পে, কিন্তু আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয় সাজঘরে। ৭৩ বল খেলে ২৬ রান করেন একাদশে টিকে থাকার লড়াইয়ে থাকা এই ব্যাটার।

 

নিজের ইনিংসকে লম্বা করতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। আগের দুই ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো এই অলরাউন্ডার এবার বোল্ড হন সিলসের বলে, ৯ বল খেলে ৮ রান করে। বাংলাদেশের এরপর আশার জুটি ছিল নুরুল হাসান সোহান ও লিটন দাস জুটি। কিন্তু সোহানও পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।


লিটন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানে বিদায়ের পর মিরাজও বিদায় নেন ৯ রান করেন। ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৯১ রান। এরপর বাংলাদেশের বোলারদের কল্যানে এড়িয়ে যায় সফরকারীরা। শেষ দিকে শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন দারুণ ব্যাট উপহার দেয়। তারা দুজনে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। শরিফুল ১৭ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দিয়ে বিদায় নেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে খালিদ ১ রানে আউট হলে ২৩৪ রানে থেকে যায় বাংলাদেশ। তবে এবাদত হোসেন ৩৫ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ