Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

গুরুদাসপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

নাটোরের গুরুদাসপুরে বড় ভাইয়ের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা ও ছোট ভাই। গত শনিবার বিকেল ৫টার সময় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর এলাকায় ভুক্তভোগী শাকিল আহম্মেদের শশুড় বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শাকিল আহমেদের মা মেহের নিগার বলেন, নাজিরপুর বাজার পাড়ায় তাদের বাড়ি। মৃত আব্দুস সাত্তার শাহ’র স্ত্রী তিনি। স্বামী মৃত্যুর আগে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান। বেশ কিছুদিন ধরে বড় ছেলে কবির আলী ছোট ছেলে শাকিল আহমেদ এবং তাকে বাসায় মেনে নিতে পারছেন না। এমনকি বিভিন্ন সময় গালিগালাজ ও মারপিটও করে থাকে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়ার জন্য একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৪ জুন বিকেলে তাদের নিজ বাড়িতে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় বড় ছেলে ও তার চাচা লতিফ শাহ সকলের সামনে ছোট ছেলেকে লোহার সাবল দিয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায় রক্তাক্ত অবস্থায় শাকিলকে স্থানীয়রা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মারধরের শিকার হওয়ার পরেও নিজের স্বামীর বসত ভিটায় বসবাস করতে পারছেন না ছোট ছেলেকে নিয়ে। এ ঘটনায় বাধ্য হয়ে ছোট ছেলের শশুড় বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। আহত শাকিল আহমেদ জানান, অনেক কষ্ট করে বাবার মৃত্যুর পর মাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। কিন্তু তার বড় ভাই মাদক ব্যবসায়ী। তাছাড়া দেশি অস্ত্র তার ঘরের ভেতরে রয়েছে। এমন অবস্থায় আইনের সহযোগিতা ছাড়া তারা নিরুপায়। অভিযুক্ত কবির শাহ কে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ