Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জলবায়ু চুক্তি নিয়েও সুর নরম করলেন ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নির্বাচনী প্রচারের সময় জলবায়ুবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তুলে নেয়ার কথা জোর গলায় বলে এলেও ভোটে জিতে সুর পাল্টেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, প্যারিসসহ আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর বিষয়ে তিনি খোলামন নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। রয়টার্স লিখেছে, ভোটের প্রচারে ট্রাম্প বারবারই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাতিলের কথা বলে এলেও তার নতুন অবস্থান আগের চেয়ে নরম। জলবায়ু পরিবর্তনকে যিনি ধাপ্পাবাজি বলেছিলেন, সেই ট্রাম্পই সাক্ষাৎকারে বলেছেনÑ মানুষের কার্যকলাপের সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কিছু সম্পর্ক আছে বলে তিনি মনে করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথম এক মাসে কী কী করবেন, তার একটি রূপরেখা ভোটের আগে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের যে অর্থ দেয়ার কথা, সেই টাকা ট্রাম্প ব্যয় করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামো সংস্কারে। এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ মাসের শুরুতে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দলের ঘনি এক ব্যক্তিও রয়টার্সকে বলেছিলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুসমর্থন তুলে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার ওই বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি খুব সুক্ষ্মভাবে ব্যাপারটা দেখছি। এ বিষয়ে আমি খোলা মনে ভাবছি।  বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনা; বিলুপ্তির হুমকিতে থাকা প্রাণী ও উদ্ভিদ রক্ষা; খরা, বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধে ২০১৫ সালে হওয়া প্যারিস চুক্তিতে দুইশর মতো দেশ অনুসমর্থন দিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে প্যারিস উদ্েযাগ মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। ভোটের আগে তার যেসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছিল, তার অনেকগুলাতেই অবস্থান বদলের ইংগিত মিলেছে ইতোধ্যে। ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দল ইতোমধ্যে জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশন নিয়ে আর কোনো তদন্ত চালাবে না নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রশাসন। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নিজেও বলেছেন, আমি হিলারিকে আঘাত করতে চাই না, সত্যিই চাই না। এমনিতেই নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে। ট্রাম্প যদি হিলারির বিরুদ্ধে স্পেশাল প্রসিকিউটর নিয়োগ না করেন, তাহলে তিনি নির্বাচনী প্রচারে প্রায় প্রতিদিন করা একটি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসবেন। ওইসময় তিনি প্রায়ই উচ্চারণ করতেন দুর্নীতিবাজ হিলারি, সঙ্গে তার সমর্থকরা ধুয়ো তুলতেনÑ তাকে জেলে পাঠাও।
দায়িত্ব বুঝে নিয়ে প্রথম কোন পদক্ষেপ নেবেন সে বিষয়টি জানিয়ে সোমবার এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ট্রেড ডিল বাতিলের বিষয়ে আগের অনড় অবস্থানের কথাই বলেছেন। বিবিসি, রয়টার্স। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ