গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
২০২২ এর বোর্ড পরীক্ষা থেকে ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ার ঘোষণার সাথে সাথে ক্লাশ রুটিন ও পাঠদান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকগণ যেহেতু বোর্ড পরীক্ষা দিতে হবে না, বিষয়টি প্রায় বাদ দিয়েছে। ১০ম শ্রেণিতে বিষয়টি যদি বোর্ড পরীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত না থাকে বিষয়টি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে এতে সন্দেহ নেই। দেশের শিক্ষাক্রমের সর্বস্তরে ইসলাম সহ ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সর্বশেষ শিক্ষাক্রমে প্রাক প্রাথমিক থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষার নির্ধারিত বই রাখা হয় নাই। এ ৩টি শ্রেণি, ৪র্থ ও ৫ম এর মত মূল্যায়নের আওতায় আনা অত্যাবশ্যক।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও সিলেবাসে সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বহালের দাবি শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রস্তাবনা পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কবি মুহিব্বুল্লাহ জামী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব মো. আবদুর রহমান, প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম খান, প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, প্রিন্সিপাল মো. মাইন উদ্দিন, প্রিন্সিপাল ড.নজরুল ইসলাম আল মারুফ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ড. মো. রেজ্্াউল করিম ড. এম এস এম এ কাদের রাহমানী, ড. মো. আনোয়ার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১০ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা ৫০% অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বোর্ড পরীক্ষা বহির্ভূত কোন বিষয় শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক গুরুত্ব দেন না। অতীতের অভিজ্ঞতায় এমনটি দেখা যায়। এমতাবস্থায় বোর্ড পরীক্ষা থেকে বাদ রেখে শুধু শিখনকালীন মূল্যায়ন দিয়ে ইসলাম শিক্ষার সুফল প্রত্যাশা করা অবাস্তবতার নামান্তর।
শিক্ষা সিলেবাস থেকে বিবর্তনবাদ সহ ধর্ম বিরোধী সকল শব্দ, বাক্য ও বিষয় অপসারণ করতে হবে।
২০১০ এর শিক্ষানীতির পৃষ্ঠা ১৭ এ বর্ণিত ধারা বাস্তবায়ন কল্পে- মধ্যেপ্রাচ্যের শ্রম বাজারে প্রবেশের জন্য শিক্ষার সর্বস্তরে আরবি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা ও প্রশাসন ক্যাডারের সকল প্রশিক্ষণে নীতি-নৈতিকতার উন্মেষ সাধনের নিমিত্তে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতির দাবী অনুযায়ী প্রাক প্রাথমিক স্তরে ২টি শিশু শ্রেণি এবং প্রাথমকি স্তরের ১ম ও ২য় শ্রেণিতে ইসলাম তথা ধর্ম শিক্ষার নির্ধারিত বই থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদেরকে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির মতই যথাযথ মূল্যায়নের আওতায় আনতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।