বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দখলে নিচ্ছে গোটা নগরী। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সিলেটের বেশিরভাগ এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আজ শুক্রবারের মধ্যেই পুরো সিলেট নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে পানি উঠে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ওই এলাকায় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। উপশহর কেন্দ্রেও একই অবস্থা। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ওই উপকেন্দ্র থেকে সারা সিলেটে বিদ্যুৎ সবরাহ করা হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ বন্ধের আশঙ্কায় শুক্রবার সকালে কুমারগাঁও ছুটে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বরাত দিয়ে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহিবুল ইসলাম ইমন জানান, বিউবোর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন আর মাত্র ৪ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেলে কুমারগাঁও উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে পুরো সিলেট অন্ধকারে চলে যাবে। বিদ্যুতের পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও দেখা দেবে। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি প্রবেশ বন্ধ ও পাম্প দিয়ে ভেতরের পানি সেচের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ইমন জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে মেয়র শ্রমিক ও পাম্পসহ সবধরণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। যে কোনভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিনি বিউবোর কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের অনুরোধ জানিয়েছেন। বন্যার কারণে অনেক স্থানে বিদ্যুতের লাইন ও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় সিলেট শহরের একাংশ ছাড়া বিদ্যুৎ সবরাহ বন্ধ রয়েছে পুরো জেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।