বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরে শ্রেণীকক্ষে শুভ ইসলাম নামে নবমশ্রেণীতে পড়–য়া শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর ও বুকে লাথি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরে সারা শরীরে গুরুতর জখম পেয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে সাড়ে ১২ টার দিকে শহরের মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। শুভ শহরের শংকরপুর এলাকার পলাশ হোসেনের ছেলে ও বিদ্যালয়টির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। এদিকে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিটের সাথে বুকে লাথি দেওয়ার ঘটনায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত দাবী করেছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শুভ ইসলাম জানান, তাদের বিদ্যালয়ে এখন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা চলছে। বৃহস্পতিবার ছিল তাদের শেষ পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ক্লাস রুমে কয়েকজন বন্ধু ও বান্ধবী মিলে ছবি তুলছিলাম। তাদের এই ছবি তোলা দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম এসে আমাকে বেধড়ক বেত্রাঘাত শুরু করে। একপর্যায়ে আমাকে জোরে বুকে লাথি মারলে আমি দূরে ছিটকে পড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের কোন দোষ নাই। পরীক্ষা শেষে ক্লাস রুমে কোন নাচানাচি বা হৈহল্লা চিৎকার করেনি। বিনাকারণে এসে শুধু আমাকে মারলো।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, এর আগেও শুভ বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিলো। বারবার তাকে সর্তক করা হলেও সে নিজেকে শুধরায়নি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষ হলে ছেলেটি একটি শ্রেণীকক্ষে তার কয়েকজন বন্ধুরে নিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা একটি মেয়ের সাথে সেলফি তুলছিলো। তাদের সেলফি ও ছবি তোলা দৃষ্টিকটু ভাবে হওয়ায় রাগে ছেলেটিকে মারধর করেছি। তবে রাগের মাথায় লাথি মারা ঠিক হয়নি। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা শাহানা খাতুন বলেন, আমার ছেলে ভালো ছেলে। এলাকায় কোন বাজে ছেলের সাথে মিশে না। বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েরা আসে শেখার জন্য। সেখানে তারা কোন দোষ করলে; শাসন করার অধিকার শিক্ষকদের আছে। তবে বেধড়ক মারপিট ও বুকে লাথি মারা কোন শিক্ষকের কাজ না। আমার ছেলেটারে বুকে লাথি মেরেছে; ঐ লাথিতে যদি ওর বড়কোন বিপদ হতো এর দায় কে নিতো। তাছাড়া এমনভাবে ছেলেকে মেরেছে সারা শরীরে জখমের দাগ ও সাদা স্কুল ড্রেসে রক্তে লাল হয়ে গেছে।
এই বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান বলেন, শিক্ষার্থীর দোষ থাকলেও এভাবে মারা ঠিক হয়নি। সহকারী শিক্ষক রাগের মাথায় কাজটি করেছে। ঘটনাটি ঘটার পরে আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্বজনদের ডাকি। দুপক্ষের বক্তব্য শুনেছি। ম্যানেজিং কমিটির সিন্ধান্তে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।