বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের গ্রাম আদালতগুলোতে এ পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘গ্রাম আদালতের প্রভাব এবং ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তায় ‘স্থানীয় সরকার বিভাগ’ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম আদালতে আড়াই লাখের বেশি মামলা দায়ের হয়েছিল উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, এর মধ্যে দুই লাখের বেশি মামলা ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। গ্রাম আদালতকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে পারলে এ আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
গ্রামীণ মানুষের নাগালের মধ্যে ‘গ্রাম আদালত’ দ্রুত ন্যায় নিশ্চিত করায় বর্তমানে এ আদালতের জনপ্রিয়তাও অনেক বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ কর্মশালায় এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, গ্রাম আদালতের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলার জেলা জজ আদালত থেকে প্রায় ১২ হাজার মামলা সংশ্লিষ্ট জেলার গ্রাম আদালতগুলোতে অর্পণ করা হয়েছে।
গ্রামের মানুষ জমিজমাসহ ছোটখাট অনেক বিষয়ে মামলা করে থাকেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে অর্থ খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হয়। এর ফলে তারা দীর্ঘ সময় ধরে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের কাছে গ্রাম আদালত আস্থা অর্জন করেছে বলেই দ্বিতীয় পর্যায় শেষে এখন এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি তৃতীয় পর্যায়ে শুরুর অপেক্ষায় রযেছে । ইউএনডিপি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ ব্যাপারে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য মন্ত্রী ইইউ ও ইউএনডিপি’র প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন এবং মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ এবং অবকাঠামোসহ সকল খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
কর্মশালায় বক্তৃতা শেষে ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করার জন্য বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে যে পক্ষই জয়ী হোক আমরা স্বাগত জানাবো। শেখ হাসিনার সরকার কোনো দল-মত দেখে উন্নয়ন কাজ করেন না। উন্নয়ন কাজ হয় দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। এজন্য যিনিই জয়ী হয়ে আসুক, তাতে কুমিল্লা সিটির উন্নয়ন ব্যাহত হবে না, উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।’
কর্মশালায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মলয় চক্রবর্তী, স্মৃতি কর্মকারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।