পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
তার আগে ছাত্রলীগের কর্মীরা হেলমেট পরে ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। তাতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে পারেননি। আগের দিন সোমবারও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর আগে গত রোববার ও শনিবার ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।
এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারি অপর পক্ষ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারি হিসাবে পরিচিত। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় তারা ক্যাম্পাসে সংঘাতে জড়ায়।
ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সমন্বয়ে এক জরুরি সভা হয়। ওই সভায় বিশ^বিদ্যালয় বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের হল এবং আজ বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে।
এদিকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জেরে গতকাল সকাল থেকে ক্যাম্পাসে হেলমেটধারীদের টহল দেখা যায়। সশস্ত্র অবস্থায় হলুদ হেলমেট পরা ১৫-২০ জনের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান নেয়। তাদের বাধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে যেতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনের বাস চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশে রওনা দিলে হেলমেটধারীরা বাসগুলো আটকে পুনরায় গ্যারেজে ফেরত পাঠিয়েছে। হেলমেটধারীরা ছাত্রলীগের কর্মী। তবে তারা কোন গ্রুপের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহন ছাড়ার সময় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।