পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতুর আলোকোজ্জ্বল উদ্বোধনের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনি (শেখ হাসিনা) যে আলোকোজ্জ্বল উদ্বোধনের কথা বলছেন ৬৪ জেলায় এটা কিসের জন্য? এগুলো কার টাকায় করবেন? এগুলো তো জনগণের টাকা। জনগণকে ঋণের বোঝায় জর্জরিত করে আপনি উল্লাস করছেন? আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের শ্রেষ্ঠ একজন মুক্তিযোদ্ধার সহধর্মিনী কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায় তার চিকিৎসা করার ন্যূনতম সুযোগ নেই। গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি›র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আপনি এত ঢাকঢোল পিটিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করছেন। বিভিন্ন দেশের ডেভলপমেন্ট দেখেছি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে লন্ডনে মাটির নিচ দিয়ে ট্রেন লাইন গেছে, একই শতাব্দীর শেষের দিকে নিউইয়র্কে মাটির নিচ দিয়ে ট্রেন লাইন নিয়ে গেছে তারা তো ঢাক-ঢোল পিটায়নি। আপনি এত ঢাকঢোল পেটাচ্ছেন কিসের জন্য? যদি আপনার নিজের টাকায় তৈরি করা হতো বা আপনার পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে করা হতো তাহলে একটা কথা ছিল। পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে সাধারণ জনগণের টাকা দিয়ে। রিক্সাওয়ালা, সিএনজি-বাসের ড্রাইভার, ব্যবসায়ী, খেটে খাওয়া মানুষের টাকা দিয়ে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রথমে যারা পদ্মা সেতুর কাজ নিয়েছিল রয়েল ব্যাংক তারা আপনাদের দুর্নীতির কারণে সরে গেছে। আপনার মন্ত্রী দুর্নীতির কথা বলেছে। এখন জনগণের ওপর অনেক ঋণ চাপিয়ে দিয়ে, চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সেতু করে বলছেন নিজের অর্থায়নে। নিজস্ব অর্থায়নে বলতে একেবারে যদি নিজের অর্থ দিয়ে করা হয় তাহলে ঋণ নিয়েছেন কেন? এই মিথ্যা কথা কেন বলছেন? একেবারে মিথ্যার উপর দিয়ে এ সরকার চলছে।
তিনি বলেন, আপনি পদ্মা সেতুকে অপায়া করছেন। আপনি পদ্মা সেতু থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে টুস করে ফেলে দিবেন বলেছেন। যিনি দেশের সম্মান নিয়ে এসেছে সেই ড. ইউনুসকে চোবানি দিবেন। তাই জনগণ এখন মনে করছে এই পদ্মা সেতুকে অপায়া করে দিয়েছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশে এখনো উন্নত চিকিৎসা নেই। যদি থাকতো তাহলে মানুষ কেন ঝাকে ঝাকে ভারত, সিঙ্গাপুর এবং অন্যান্য রাষ্ট্রে যায়? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটে জেলখানায় গেলেন। আর হুইলচেয়ারে করে বের হলেন। আপনি কি নির্যাতন করেছেন? আপনি খাবারের মধ্যে কি বিষ দিয়েছেন? গোটা জাতির মুখে এই প্রশ্ন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি কি শূন্যতা সৃষ্টি করতে চান? আপনি মনে করেছেন বেগম খালেদা জিয়া আর মনে হয় উঠে দাঁড়াবেনা, তারেক রহমান দেশে আসতে পারবে না। শেখ হাসিনা আপনি ঝড়ের পূর্বভাস বুঝতে পারছেন না। যখন শূন্যতা শুরু হয় চারদিক থেকে ঝড় আসতে শুরু করে। আর এই কালবৈশাখীর ঝড়ে খড়কুটোর মতো আপনার সরকার উড়ে যাবে। আপনি টের পাবেন না। আপনার সরকার ধপ করে পড়ে যাবে।
সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।