Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে বাড়বে আমদানি রফতানি বানিজ্য

রাজস্ব আয় বেড়ে দ্বিগুন হবে

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ৭:৪৬ পিএম | আপডেট : ৮:৫৩ পিএম, ১৩ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের সর্ব বৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল দিয়ে বাড়বে আমদানি রফতানি বানিজ্য। ঘটবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি। বেনাপোল বন্দর থেকে পন্যবোঝাই ট্রাক দ্রুত সময়ে পৌছে যাবে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিণœ স্থানে।ফলে একদিকে যেমন পরিবহন খরচ কমবে, অন্যদিকে বাজারে পন্যের মূল্যও কমে যাবে এমনটি বলছিলেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ শামছুর রহমান।

দেশের সিংহভাগ কলকারখান াও গার্মেন্টস ইন্ডাসিট্রজ’র কাচামাল শতকরা ৮০ ভাগ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বন্দর থেকে খালাশ করা কাচামাল দ্রুত সময়ে শিল্প কলকারখানায় পৌছে গেলে পন্যের উৎপাদন খরচও কমে যাবে।
শিল্প-কলকারখানা প্রসারিত হবে। কৃষিজাত পণ্যের বাজার প্রসারিত হবে। এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য স্বল্প সময়ে় এবং অল্প খরচে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে অধিক মুনাফা পাবে।বেনাপোল স্থল বন্দরের কার্যকারিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের সামগ্রিক যাতায়াত ব্যবস্থা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তন হবে। জিডিপি এবং রাজস্ব আয় দুই বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে সরকার প্রতিবছর ৬ হাজার কোটি টাকার রাজাস্ব আয় করে থাকে। পদ্মাসেতুর কারনে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়ে দাড়াবে ১০ হাজার কেটি টাকায়।

বেনাপোল আামদানি- রফতানি কারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের চাওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন বা¯তবায়িত হতে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ এবং কম সময় লাগার কারণে দেশে অন্যতম বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আমদানী ও রপ্তানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। আমদানী ও রপ্তানিকারকদের আর্থিক সাশ্রয়ও হবে

ব্যবসায়ীআব্দুল লতিফ জানান, এই সেতু ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। দেশ থেকে রফতানি বাড়বে দ্বিগুন। শুধু ব্যবসা বাণিজ্য নয় সকল দিকেই পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়বে বেনাপোল বন্দরের হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা তাঁর।

ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের জন্য দূর্গম পথ ছিল ঢাকা। বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌছাতে ৮/১০ ঘন্টা সময় লেগে যেত। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মা দু’পাড়ে শত শত যানবাহন এবং হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ দেখেছি। এ অঞ্চলের মেধাবীরা ঢাকার সংগে সড়ক যোগাযোগ উন্নত না থাকয়া যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও ঢাকায় যেয়ে পড়াশুনা করতে পারেনি। বহু রোগী সময়মতো পদ্মা নদী পার হতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেছে ফেরি ঘাট্ইে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার আিব্দুর রশিদ মিয়া জানান,পদ্মা সেতু ছিল দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। সরকার নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মান করায় এ অঞচলের মানুষের ভাগ্য খূলে যাবে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে পন্য খালাশ করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। অন্যুদিকে ভারতের সাথে বাড়বে যাত্রীপারাপার। বর্তমানে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোাস্ট দিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করছে। পাদ্মা সেতু চালু হলে যাত্রী পারাপার বাড়বে , সেই সাথে বাড়বে সরকারের আজস্ব আয়।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু চালূ হচ্ছে এটা খুবই আনন্দের বিষয়।বেনাপোল দিয়ে ভারতের সাথে বানিজ্য বাড়বে দ্বিগুন। বেনাপোল দিয়ে রেলপথে মালামাল আমদানি বেড়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে পন্য খলাশের পর দ্রুত সময়ে রেল যোগে পন্য পৌছে যাবে ব্যবসায়ীদের কাছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়ে ˜িগুন হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ