Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের আগে পাকিস্তানের সাথে হোয়াইটওয়াশ উইন্ডিজ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ৭:২৬ এএম

মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫৩ রানে জিতেছে বাবরের আজমের দল। ফলে ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল স্বাগতিক পাকিস্তান।

ঘরের মাঠে পাকিস্তানের প্রথমে ম্যাচ করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.২ ওভাবে ২১৬ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

অবশ্য এদিন ৫ উইকেটে ১১৭ রানের নড়বড়ে অবস্থান থেকে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান করে স্বাগতিকরা। ইমাম-উল-হকের আরেকটি ফিফটির পর ৭৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন শাদাব।

দারুণ ছন্দে থাকা বাবর এবার থামেন ১ রান করেই। লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেটটা পায় রিভিউ নিয়ে।
ওয়ানডেতে টানা ৬ ও সব সংস্করণ মিলিয়ে রেকর্ড টানা ৯ ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়ার যাত্রা থেমে গেল পাকিস্তান অধিনায়কের।

ওই ওভারেই ইমাম ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৫ বলে। ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা ৭ ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁলেন তিনি। টানা সবচেয়ে বেশি ৯ ইনিংসে ফিফটি ছোঁয়ার রেকর্ড তার স্বদেশি জাভেদ মিয়াঁদাদের। ফিফটি করে বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। একই ওভারে তিন বলের মধ্যে ইমাম ও মোহাম্মদ হারিসকে ফিরিয়ে দেন পুরান। স্লগ সুইপের চেষ্টায় ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়া ইমামের ৬৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস গড়া ৭ চার ও একটি ছক্কায়।

একটা পর্যায়ে বিনা উইকেটে ৮৫ থেকে পাকিস্তানের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১১৭! শুরুতে খুশদিল শার সঙ্গে ৮৪ রানের জুটিতে ধাক্কা সামাল দেন শাদাব। ৪৩ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন খুশদিল। মোহাম্মদ নওয়াজ পারেননি কিছু করতে।

৫৭ বলে চতুর্থ ওয়ানডে ফিফটি করা শাদাব জাগান সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও। এজন্য শেষ ওভারে তার দরকার ছিল ১৪ রান। তবে জেডেন সিলসের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান প্রথম বলেই। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৫৪। এরপর তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি শেই হোপ (২১), শামার ব্রুকস (১৮), পুরান (১১) ও রভম্যান পাওয়েল (১০)। ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা।

দলকে টানছিলেন দলে ফেরা কেসি কার্টি। শাদাবকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে স্টাম্পড হন তিনি। ৪৫ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় করেন ৩৩ রান। কিমো পল ১১ বলে ২১ রান করে যখন ফিরলেন, ১৫৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এরপরই ঝড় তোলেন আকিল। ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ৩৪ বলে। তার ব্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে জাগে আশাও। তবে ৩৭ বলে ৬ ছক্কা ও ২ চারে ৬০ রানে করে শাদাবের বলে আকিল স্টাম্পড হতেই নিভে যায় সেই সম্ভাবনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ