বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক সংকটের সুযোগ নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছে জিম্মি হওয়া রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের স্বার্থে প্রশাসন সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আবারও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষাবলম্বন করল। গ্রেফতার করা হল বিনা চিকিৎসায় মৃত ছাত্রের সহপাঠী ও মামাকে।
শনিবার বিকেলে বরিশাল ইসলামিয়া কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের তিন শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন, হৃদয় ও ওসমান গনি মটর সাইকেল যোগে নগরীর উপকণ্ঠ তালতলি এলাকায় যাবার পথে মটর সাইকেলটি মহাবাজ এলাকায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেলে তিন বন্ধুই কমবেশী আহত হয়। আহত তিনজনকেই শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক বেলতলা এলাকার আনসার আলীর পুত্র রিয়াদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিন্তু আহত রিয়াদের সহপাঠী ও স্বজনদের অভিযোগ, রিয়াদকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরেও সে বেঁচে ছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা যথাসময়ে যথাযথ চিকিৎসা না করায় রিয়াদের সহপাঠী ও স্বজনদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। যা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে শেষ হয়।
এ ঘটনার সূত্র ধরে রাত ৯টায় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া বন্ধ করে হাসপাতালের গেটে তালা দিয়ে সমাবেশ শুরু করে। এক পর্যায়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের হুমকিও দেয়। এমনকি দেশের সকল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাও ধর্মঘট করবে বলে হুমকি দেন। অপরদিকে ইন্টার্নীদের এ আচরনের প্রতিবাদে অন্যান্য রোগীদের স্বজনেরা হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। অবশ্য রাত ১০টার পর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহার আশ^াসে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা হাসপাতালের গেটের তালা খুলে দেয়। এসময়ে পুলিশ মৃত রিয়াদের মামা আনোয়ার হোসেন ও সহপাঠী শাওনকে আটক করে।
পরে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধোরের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করলে আটককৃত দুজনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কোতোয়ালি থানার ওসিÑতদন্ত লোকমান হোসেন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত রিয়াদের লাশ তার আাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাওনের মা শাহনাজ পারভীন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে বেডে ছটফট করা থেকে মৃত্যুর পর পর্যন্ত রিয়াদের পাশে বসা ছিলেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করলেই দেখা যাবে শাওন কারও গায়ে হাত দেয়নি। শাওনকে বিনা দোষে গ্রেফতার করাহয়েছে। তিনি আরো বলেন কেউ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের গায়ে হাত দেয়নি। মৃত রিয়াদের বন্ধুরা উত্তেজিত হয়ে একটি ফ্ল্যাক্স ভেঙ্গে ফেলে। এসময়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দলবদ্ধ হয়ে রিয়াদের সহপাঠী ও স্বজনদের উপর হামলা চালায় বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।