নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিততে শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ৬০ রানের। প্রতি ওভারে করতে হবে ২০ রান করে। টপঅর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান উইকেট সাজঘরে। অধিনায়ক দাসুন শানাকা তখন ১২ বলে করেছেন ৬ রান। তার সঙ্গে চামিকা করুনারাত্নে। তখন মনে হচ্ছিল হোয়াইটওয়াশ হতে যাচ্ছে লঙ্কানরা। কিন্তু এরপর বিধ্বংসী এক ইনিংস খেললেন অধিনায়ক। তাতেই উল্টো ১ বল হাতে রেখে নাটকীয় এক জয় স্বাগতিকদের।
শনিবার পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ১৯.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছায় লঙ্কানরা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই খুইয়েছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ ম্যাচটা ছিল মর্যাদার। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। এমন ম্যাচে জ্বলে ওঠেন অধিনায়ক। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। বল মোকাবেলা করেন ২৫টি। তবে ছয় রান থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে বল খেলেছেন ১৩টি। অর্থাৎ শেষ ১ বলেই করেছেন ৪৮ রান। ৫টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান অধিনায়ক। ১০ বলে ১৪ রান করে তাকে ভালো সঙ্গ দেন করুনারাত্নে।
জয়ের লক্ষ্য তাড়ায় শ্রীলঙ্কার শুরুটা মন্দ ছিল না। ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে দলটি। তবে সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারছিলেন না কেউই। তাতে জুটি বড় হয়নি। পাথুম নিশাঙ্কা ২৭, চারিথ আসালাঙ্কা ২৬, ভানুকা রাজাপাকশে ১৭ ও দানুস্কা গুনাথিলাকা ১৬ রান করেন। তাতে রানের গতি সচল রাখার চেষ্টা চালান তারা। তবে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা যখন আউট হন তখন তাদের দলীয় সংগ্রহ ১০৮ রান। তখন বল বাকি আর ২৬টি। তবে সম্ভব হয় ওই শানাকার ঝড়ে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে অস্ট্রেলিয়া। ৪৩ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়ককে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মহেস থিকসানা। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে ৪২ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ওয়ার্নার।
দলীয় ৮৫ রানেই অজিদের তিন ব্যাটারকে ফেরায় দলটি। ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। পরের ওভারে ওয়ার্নারকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন থিকসানা। পরের বলে জস ইংলিশকে রান আউট করেন তারা। পঞ্চম উইকেটে মার্কাস স্টোয়নিসকে নিয়ে স্বাগতিকদের হতাশা বাড়ান স্টিভ স্মিথ। ৪৮ রানের জুটি গড়ে সে ধাক্কা ভালোভাবেই সামলে নেন দুই ব্যাটার। এরপর স্টয়নিস ফিরে গেলেও ম্যাথিউ ওয়েডকে নিয়ে দলকে সন্তোষজনক পুঁজি এনে দেন স্মিথ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। স্টয়নিসের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। এছাড়া স্মিথ অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। ফিঞ্চ করেন ২৯ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৫ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান থিকসানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।