গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতে মহানবী (সা.) ও তার সহধর্মিনীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মোদির জন্যই ভারত উগ্র সাম্প্রদায়িক রাষ্টে পরিণত হয়েছে। ভারত থেকে মুসলমানদের নাম নিশানা মুছে ফেলা যাবে না। অনতিবিলম্বে নবী (সা.) ও তার সহধর্মিনীকে নিয়ে কটুক্তিকারী কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান এবং মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আজ শনিবার বিভিন্ন ইসলামী দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নবীপ্রেমিক বিক্ষুব্ধ জনতা ভারতের মোদি সরকারকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভারত থেকে মুসলিম উৎখাতের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। মহানবী (সা.) শানে কটুক্তির প্রতিবাদে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। মহানবী (সা.) কে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ১৫ জুন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। আজ বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি প্রিন্সিপাল আব্দুল আলিম রেজভীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস কাজী মো. মঈনুদ্দিন আশরাফী। একই দাবিতে বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। এতে সভাপতিত্ব করেন নেজামে ইসলাম পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবু তাহের খান।
কে নিয়ে নূপুর শর্মা ও প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল যে মারাত্মক মন্তব্য একজন ঈমানদার মেনে নিতে পারেনা। এটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী করার একটা ইস্যূ মাত্র। রাসূলের (সা.)’র প্রতি এমন অবমাননাকর মন্তব্যই প্রমাণ করে ভারতের বিজিপি সরকার মুসলিম ধর্ম বিদ্বেষী। তিনি আরও বলেন- তার কট্র্র বক্তব্যের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা মানে দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়া নয় তাঁকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে ঘাপটি মেরে থাকা অসংখ্য শর্মারা এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক -সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে। ষ্টান্ডিং কমিটির সিনিয়র সদস্য এম এ মতিন প্রধান বক্তার বক্তব্যে বলেন- আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চলতি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে নিন্দা জানাতে হবে এবং জবাব চাইতে হবে। নইলে আগামীতে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দিতে বাধ্য হব।
ম ম জিলানী ও আবদুল হাকিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব রাখেন- সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, কাজী মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন ফরায়েজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাদেরী, আবদুল মালেক বুলবুল, মোহাম্মদ কাশেম, এডভোকেট মাহবুবুল আলম আশরাফী, এডভোকেট মাহবুুবল আলম আশরাফী, আবুল হাশেম, গোলাম কিবরিয়া, এডভোকেট আবদুল আউয়াল, মাওলানা মুহিউদ্দীন হামিদী, কাজী জসিম উদ্দীন সিদ্দীকি, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন নঈমী, মুহাম্মদ মাঈনুদ্দীন হেলাল, পীর সিরাজুল আমিন রেজবী, পীর ওয়ালী উল্লাহ আশেকী, মোহাম্মদ ইকবাল, মুফতি এহসানুল হক বারী জিহাদী, সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আজহারী, আবদুল মোস্তফা রাহীম আজহারী, মাও. ফরহাদুল ইসলামী বুলবুলি, মাও. হারুনুর রশিদ সিদ্দীকি, আনিসুর রহামন আনিস, সাইফুদ্দীন আহমদ, সিদ্দীকুর রহমান সরকার, আব্দুল্লাহ আল জাবের, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুসা, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, হাজী রুবেল হোসেন, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুক, কাজী জসিম উদ্দীন নুরী, নাজমুল হক, আমান উল্লাহ সুন্নী প্রমুখ।
শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূণরায় প্রেসক্লাবে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।