পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ জোড়া হত্যাকাণ্ডে ওমান থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা সুমন শিকদার মুসা জড়িত। মুসাকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতারকৃত ১২ জনকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে এনে মুসার মুখোমুখি করা হবে।
গতকাল শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। এদিকে গতকালই ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা’র আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। আদালত মুসার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চলতি বছরের ২৪ মার্চ রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন টিপু। এ ঘটনায় নিহত হন সামিয়া আফনান প্রীতি নামে এক কলেজ ছাত্রী। পরদিন শাহজাহানপুর থানায় স্বামীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি। ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেফতার করে। বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার মুসাকে দেশে নিয়ে আসে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় বগুড়া থেকে গ্রেফতার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম উঠে আসে। পরে জানা যায় মুসা ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান। এরপর তার সন্ধান পেতে ৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, এরপরই গত ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে চলে গেছেন। মুসাকে না পেয়ে মামলার তদন্তে আমরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম। তবে এনসিবির মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় মুসাকে ওমান থেকে গ্রেফতার করে দেশে আনা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুসা জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি খুনের পরিকল্পনায় মুসা জড়িত।
ঘটনার সঙ্গে মোল্লা শামীম নামে একজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এসেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগে আমরা নিশ্চিত হবো তিনি কোথায় পালিয়েছেন। এছাড়া কীভাবে পালিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তে করে দেখা হচ্ছে। তাছাাড় গ্রেফতারকৃত ১২ জনকে মুসার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর খুনের ঘটনায় কার কী সংশ্লিষ্টতা, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।