পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানিকগঞ্জে সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে। অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জনগণ বিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুন্সীগঞ্জে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র করছে। এদেশের জনগণ জীবন দিয়ে তা প্রতিহত করবে। নওগাঁয় সমাবেশ স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি, পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায় বলেই বিএনপিকে সমাবেশ আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে। সুনামগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে সারা বাংলাদেশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলবে। আর এই আগুনে আপনার পুড়ে চাই হয়ে যাবেন। মারাত্মকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আইনি কোন বাধা না থাকলেও সরকার তাকে মুক্তি দিতে ভয় পাচ্ছে। কেননা খালেদা জিয়া দেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন নেত্রী বলেই মানুষ তার মুক্তির দাবি করছেন। লালমনিরহাটে সামাবেশে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ভিক্ষা নয়, আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হবে। অন্যদিকে, পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপি সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই হামলার ঘটনা ঘটেছে এ সময়ে সভাস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, দীর্ঘ দিন পর জেলা বিএনপির এ সমাবেশ হওয়ায়। হাজার হাজর নেতা কর্মীরা সকাল থেকেই সমাবেশে আসতে শুরু করে। কানায় কানায় ভরে যায় সভাস্থল। গতকাল মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ,ফ,ম নূরতাজ আলম বাহার, গোলাম আবেদীন কায়ছার প্রমূখ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এখন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের জন্য ডাক শুরু করে দিয়েছেন। তিনি এই সংলাপকে অর্থহীন বলে উল্লেখ্য করেন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই সরকারের পদত্যাগসহ তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচনে দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলে ক্ষতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকুরি প্রার্থীদের ।
দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার ও মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম । দেশের আইন আছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,এদেশে এখন বরগিও শাসন চলেছে। কেউ তাদের হাত থেকে নিরাপদে নাই। এ সরকার হচ্ছে রহিঙ্গা সরকার।রহিঙ্গাদের যেমন ভোটাধিকার নেই তেমনি এ সরাকের ভোট লাগে না।ভোটার আইডি বিহীন রহিঙ্গা ভোটা বিহীন এ সরকার কোন পার্থক্য নাই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আব্দুস সালাম বলেন আওয়ামীলীগ সরকারকে বিদায় করতে হবে। আর বেশি দিন সময় দেওয়া যায়না। আমার মা আজকে জেলে।আমার মা আজ হাসপাতালে শুয়ে মুত্যুর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। খালেদা জিলাকে সুচিকিৎসা দিচ্ছে না। কারণ খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।তিনি অবিলম্বের খালেদার জিয়ার মুক্তি দাবী জানান।
সমাবেশকে ঘিরে বেলা ১১টা থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সভা স্থলে আসতে শুরু করে।সভা শুরুর আগেই কানায় কানায় ভরে যায় সমাবেশ।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য শুরু হলে বিজয় মেলা মাঠ ও আশ পাশের রাস্তায় লোকে লোকারন্য হয়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুক্তারপুরে বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। জনগণ এখন ভোট কেন্দ্রে যায় না যায় হাস , মুরগি গরু ছাগল। তিনি বলেন, দেশে এখন স্বৈরাচারী শাসন চলছে। প্রেসিডেন্ট আওয়ামী লীগের অভিভাবক হয়ে গেছেন। তাই সংলাপে কোন কিছু হবে না। এদেশের জনগন আর হুদা মার্কা নির্বাচন করতে দিবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রাণীর ক্ষমতায় থাকতে চায়। রিজভী বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে জনগণের মাঝে ফিরে আসলে দেশে আবার বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আসাদুজ্জামান রিপন, এডভোকেট আব্দুস সামাদ আজাদ, হাবিবুন নবী খান সোহেল, ইসরাক হোসেন, সরাফত হোসেন সপু, কামরুজ্জামান রতন, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, রিপন মরিøক প্রমুখ।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায় বলেই বিএনপিকে সমাবেশ আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে। নওগাঁ জেলা বিএনপির ডাকা জনসমাবেশে বিপুল পরিমাণ জনগণের উপস্থিতি টের পেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে এই সরকার আবার প্রমাণ করলো তারা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নওগাঁ পৌর এলাকায় ১৪৪ জারির প্রতিবাদে দুপুরে নওগাঁ শহরের মল্লিকা ইন কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময়ে একই স্থানে জেলা যুবলীগও সভা আহŸান করে। এরপর জেলা বিএনপি শহরের এ-টিম মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে জেলা ছাত্রলীগ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন পুরো পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগমের উপস্থিতি টের পেয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে নাটক সৃষ্টি করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেহেতু আজকে আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। তাই আগামীতে অনুমতি ছাড়াই এই নওগাঁতে সমাবেশ হবে। সেই ধরণের মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে আপনাদের। স্থগিত হওয়া এই সমাবেশ যে কোনো সময় ঢাকা হতে পারে। সেই সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রেীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল হক চন্দন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহŸায়ক হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দীন আহমেদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু সহ জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, লালমনিরহাট আলোরুপা মোড়স্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃর্শত মুক্তি, সু-চিকিৎসার দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয় সারা বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করে আনবে। জিয়াউর রহমানের নাম নিতে এখন তারা লজ্জা পায়, তারাই গণতন্ত্রের ওয়াদা দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। অথচ জিয়াই এদেশে গনতান্ত্রিক সরকার উপহার দিয়েছিলেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপ মন্ত্রী প্রিন্সিপাল আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য মো. মনিরুল হক চৌধুরী, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এস,এম, জাহাঙ্গীর, দিনাজপুর পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান রাজিব প্রধান।
সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসষ্টেশন এলাকায় বেগম জিয়ার মুক্তির দাবীতে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক সাংসদ সদস্য নজির হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মল্লিক মুইনুদ্দিন সুহেল, দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, অ্যাডভোকেট মাসুক আলম প্রমুখ।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালী জেলা বিএনপি সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে সভাস্থলের মঞ্চ এবং চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্ক মাঠে সভাস্থলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।