রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : গত চারমাস পরে ডিবির তদন্তে বরগুনা জেলাধীন তালতলী থানার আবুল কাসেম হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, বিগত ২৫/০৯/২০১৫ তারিখ সকাল ১০টার সময় বরগুনা জেলাধীন তালতলী থানার আলীর বন্দর গ্রামের নুরুল ইসলাম বয়াতীর ছেলে মো. আবুল কাসেম (৩০)-এর লাশ পার্শ্ববর্তী বেহালা খালে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তালতলী থানাকে অবহিত করেন। একই দিনে মৃতের পিতা নুরুল ইসলাম বয়াতী বাদী হয়ে একই বাড়ির মৃত আমজেদ বয়াতীর বোনের ছেলে মোনসাতলী (জয়ালভাঙ্গা) গ্রামের সোহরাফ তালুকদারের ছেলে সামসুল হককে পুত্রবধু সোনিয়ার সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে তালতলী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। তালতলী থানা পুলিশ সন্দেহজনকভাবে মৃতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার এবং মোবাইল কললিস্ট সংগ্রহ করে খুনের সহযোগী সন্দেহে শামসুল হকের বন্ধু রাসেল ও মিরাজকে গ্রেফতার করে আসামি হিসাবে কোর্টে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে মোসাঃ ফাতেমা ওরফে টিয়াকে প্রেরণ করে জবানবন্দী প্রদান করান। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় পুলিশ সুপার বরগুনা মামলাটি তদন্ত করার জন্য ডিবিকে দায়িত্ব প্রদান করেন। অতপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি মোসাঃ ফাতেমা ওরফে টিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, মৃত মো. আবুল কাসেম এবং প্রধান আসামি সামসুল হকের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ টিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। পাশাপাশি মৃতের স্ত্রী সোনিয়ার সহিতও সামসুল হকের পরকীয়া সম্পর্ক চলমান ছিল। ঘটনার সময়ে টিয়া এবং আবুল কাশেমের দৈহিক সম্পর্ক প্রত্যক্ষ করে উত্তেজনার বসে সামসুল হক আঘাত করলে কাশেম অজ্ঞান হয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক আসামি রাসেল ও মিরাজ ছুরি দিয়ে কাশেমের শরীরে একাধিক আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ নদীতে লুকিয়ে রাখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।