Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামের ম্যাচ উইনার নবী!

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৮৩/৩ (২০.০ ওভারে)
চিটাগাং ভাইকিংস : ১৮৬/৪ (১৯.২ ওভারে)
ফল : চিটাগাং ভাইকিংস ৬ উইকেটে জয়ী।
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম থেকে : একদিনে দুই ম্যাচের দু’টিই হাইস্কোরিং, দু’টির ফায়সালাই হয়েছে শেষ ওভারে এবং দু’টিতেই রান তাড়া করে জয়! চলমান আসরে তো দূরের কথা, এমন একটি দিন বিপিএল ইতিহাসে এটাই যে প্রথম। দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার দেয়া ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জে জিতেছে রাজশাহী। দ্বিতীয় ম্যাচে সেখানে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস ৬ উইকেটে জিতে! ৩৬৬ রানের প্রথম ম্যাচটিতে চলমান আসরে হয়েছে চেজিংয়ের রেকর্ড। রাতে ১৬৯ রানের ম্যাচটি দিনের রেকর্ড গেছে ছাড়িয়ে! কাকতালীয় হলেও সত্য, রাজশাহীর জয় মানেই সামিট প্যাটেল, তাদের দু’টি জয়েই ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইংল্যান্ডের ওই ক্রিকেটার। চট্টগ্রামের জয় মানেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ নবী! কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে চিটাগাং ভাইকিংসের প্রথম দেখায় ২৯ রানে জয়ের নায়ক নবীর বোলিং (৪/২৪), রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৮৭ রানের হার না মানা ইনিংসেও ম্যাচ উইনার এই আফগান, কুমিল্লার বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচেও ২৪ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে যথারীতি হিরো নবী!
খালিদ লতিফের ৫৩ বলে ৬ ছক্কা, ৬ চার এ ৭৬ রানের ইনিংস, নবীকে বাগে পেয়ে এক ওভারে তিন তিনটি ছক্কায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিশাল পুঁজিতে (১৮৩/৩) নিজেকে অপরাধীই মনে করেছেন এই আফগান। লতিফের কাছে ছক্কা তিনটি খেয়েই উঠেছেন তেঁতে, যেন লতিফের ইনিংসকে মøান করতে করেছিলেন পণ। শোয়েব মালিকের সাথে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৬৪ রানে রেখেছেন অবদান। শেষ ৩০ বলে ৫৩ রানের টার্গেট অনতিক্রমযোগ্য মনে হয়নি নবীর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণেই। সোহেল তানভীর এবং শরীফকে পর পর ২ ওভারে ২টি করে বাউন্ডারিতে সেই যে ছন্দ পেয়েছেন, সেই ছন্দ হারাননি তিনি। ১৯তম ওভারে সোহেল তানভীরের প্রথম বলে পুল করতে গিয়ে শোয়েব মালিক বোল্ড আউটে (২৫ বলে ৩৮) ফিরে গেলেও চিটাগাং ভাইকিংসকে পড়তে দেননি নবী দুর্ভাবনায়। ওই ওভারের পঞ্চম বলে স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ছক্কায় চিটাগাং ভাইকিংস সমর্থকদের আগাম উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন। স্ট্রাইক এন্ডে ছিলেন বলেই শেষ ৬ বলে ৮ রানের টার্গেট কঠিন হতে দেননি নবী। সাইফউদ্দিনের প্রথম বলে থার্ডম্যান দিয়ে মেরেছেন বাউন্ডারি, পরের বলটিকে লংঅনের উপর দিয়ে আছড়ে ফেলেছেন বাউন্ডারি রোপের বাইরে! সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়েছে চিটাগাং ভাইকিংস সমর্থকেরা। এমন একটি দিনে মিড অফ থেকে তামীমের মাপা থ্রোতে ইমরুল কায়েসের (২৬ বলে ৩৬) রান আউটেও চট্টগ্রামের লোকাল হিরো পেয়েছেন বাহবা। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ছন্দ ফিরে পাওয়া ফিফটির (৫০) পর গতকাল ৩০ বলে ২ চার ২ ছক্কায় এনামুল বিজয়ের ৪০ রানের ইনিংসটিও ভাইকিংসকে বড় রান তাড়া করে জয়ের পথ দেখিয়েছে।
শুক্রবারে উপচেপড়া দর্শক উপস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছে বিসিবি। তবে সোমবারে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক দেখে একটু বেশিই খুশি হয়েছেন বিসিবি সভাপতি। চিটাগাং ভাইকিংসের ম্যাচ বলে স্বাগতিক দলের সমর্থনে জড়ো হওয়া বন্দরনগরীর ক্রিকেট প্রেমীরা এদিনও খোশ মেজাজে ছেড়েছেন স্টেডিয়াম! টানা ৪ ম্যাচ হেরে শেষ চারের স্বপ্ন ধুসর হতে থাকা চিটাগাং ভাইকিংসের পালে হাওয়া লাগিয়ে দিয়েছে দলটির হোমগ্রাউন্ড! দলটির ৩ জয়ের দু’টিই উপর্যুপরি। ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে শেষ চারের স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রেখেছে চিটাগাং ভাইকিংস। তবে সপ্তম ম্যাচে ষষ্ঠ হারে চোখে সরষের ফুল দেখছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ