দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বৃহস্পতিবার (৯ জুন)। এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত কয়েকদিন ধরে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে কোনো বৃষ্টি নেই। তাই কিছু কিছু স্থানে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। বৃষ্টি হচ্ছে না ঢাকায়ও। বৃষ্টি না হওয়া অঞ্চলের জনজীবনে গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে নগরবাসী। তবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর ঢাকার আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি।

বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সাতক্ষীরা, যশোর ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।