পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশে জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ শিশু। ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে আমাদের শিশুদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ প্রয়োজন। শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেশি করে বিনিয়োগ না করলে এই ক্ষতি জাতি হিসেবে পুষিয়ে নেওয়া কখনো সম্ভব হবে না। কারণ বর্তমানে বাজেটে শিশুদের জন্য যা বরাদ্দ হয়, তার মাত্র ১ শতাংশ তাদের অধিকার রক্ষায় ব্যয় হয়।
‘বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ে শিশুদের জন্য বরাদ্দ’ শিরোনামে গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় বিষয়টি উঠে আসে। যৌথভাবে বৈঠকটির আয়োজন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউনিসেফ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ডেইলি স্টার।
গোলটেবিলে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। গোলটেবিল বৈঠকে আরও অংশ নেন-ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক (গার্লস রাইটস) কাশফিয়া ফিরোজ, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এইকো নারিতা, ইউনিসেফের প্রতিনিধি ভিরা মেনডোসা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি।
প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশুদের শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় এখনই। সরকার প্রণীত ২০১৮ সালের ‘প্রস্ফুটিত শিশু’ প্রতিবেদনে শিশুদের জন্য বাজেট বরাদ্দ মোট সরকারি ব্যয়ের ১৫ শতাংশ থেকে ক্রমান্বয়ে ২০ শতাংশে উন্নীত করার অভীষ্ট রাখা হয়েছিল। এ বাজেটে তার প্রতিফলন অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, শিশুদের জন্য নির্ধারিত বাজেট প্রত্যেক বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে যথাযথভাবে প্রস্তুত ও প্রকাশ করতে হবে। তাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে আমাদেরকেই। শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে প্রত্যেকের সচেতনভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাজেট প্রণয়নে শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয় বাড়ানো ও সমন্বিত উপাত্তভিত্তিক পর্যালোচনার ওপর জোর দেন বক্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।