ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। নইলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই আওয়ামী সরকারকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বিদায় করবে। বুধবার (০৮ জুন) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মিরপুর থানার ৭, ১১, ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা-১৪ আসনে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এ সিদ্দিক সাজুর সার্বিক তত্বাবধানে দারুসসালামস্থ এসএ খালেকের বাসভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ ও বহু মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশকে আমরা স্বাধীন করেছি। ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের বহু ভাই বোনদের রক্ত দিতে হয়েছে। তারপরও আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি। ইনশাআল্লাহ এবারও আমরা বিজয় হবো। এই অবৈধ নিশিরাতের আওয়ামী সরকারকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বিদায় করে ছাড়বো।

মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, এই অবৈধ আওয়ামী সরকারকে হঠানো এখন ঈমানী দায়িত্ব হয়ে গেছে। যখন রাজপথে নামার ডাক আসবে, তখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলকে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। তখন এ অবৈধ জালেম সরকার পালানোর পথ পাবে না।

নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সম্মেলনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে স্বচ্ছতা উপায়ে নেতা নির্বাচন করার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন বিএনপি। আমি আশা করি আওয়ামী সরকার এ নির্বাচন অনুষ্ঠান দেখে স্বচ্ছ নির্বাচনের মনোভাব তারা চিন্তা করবে। তাদের বোধদয় হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবার গণতন্ত্র চর্চায় তারা এগিয়ে আসবে।

এস এ সিদ্দিক সাজু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ তার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নিরলস পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফলে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে পারছে। ইনশাআল্লাহ আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে অচিড়েই একটি অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর য্বুদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আইয়ুব আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সাইদুল ইসলাম সাইদুল, সহ সভাপতি রাজীব আহম্মেদ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নাসির, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, সিনিয়র সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম রানা, মিরপুর থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী আবদুল মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব আরিফ মৃধা, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক স,ম আরিফ উল্লাহ, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আবুল বাঁশার ভূঁইয়া, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মিয়া মোঃ আকরাম হোসেন, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ মফিজুর রহমান মফিজ, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ কবীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আরিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহম্মেদ স্বপন, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন মেজবা, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, মিরপুর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবু রাসেল চৌধুরী মিঠু, দারুসসালাম থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মোমিনুল ইসলাম মমিন, শাহ্আলী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান দেওয়ান, দারুসসালাম থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির, মিরপুর থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু সাদাত খান রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল সম্রাট, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোহেল রহমান, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ ইকবাল মাহমুদ রিপন, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এস এম রুস্তম আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক কে, এম, ইয়াহিয়া সামী, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাহবুবুর রহমান, ১২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রুবেল, দারুসসালাম থানা ছাত্রদলের আকিব আসিফ অভি, মোঃ রানা, রুমন আহম্মেদ, শাহ্আলী থানা ছাত্রদলের রায়হান, সজীব, অপু, মিরপুর থানা ছাত্রদলের মেহেদী, রাজা সহ ওয়ার্ড থেকে আগত কাউন্সিলরবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।

সম্মেলনে ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটির সদস্যগণ ব্যালটের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করেন।