Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান নির্বাহী ও কর্মীদের বেতনের ব্যবধান বেড়েছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

কভিড-১৯ মহামারীতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও কর্মীদের মধ্যকার বেতনের ব্যবধান নিম্নমুখী ছিল। বিনিয়োগকারীদের চাপে নির্বাহীদের বেতন কাটায় এ ব্যবধান কিছুটা সংকুচিত হয়। তবে মহামারীর প্রভাব কমার সাথে সাথে এ ব্যবধান আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত বছর মার্কিন প্রতিষ্ঠানে সিইও ও কর্মীদের বেতনের গড় ব্যবধান প্রসারিত হয়েছে। ২০২১ সালে সিইওরা গড়ে ১ কোটি ৬ লাখ ডলার বেতন পেয়েছেন। যেখানে কর্মীদের বেতনের বার্ষিক গড় ২৩ হাজার ৯৬৮ ডলার। খবর দ্য গার্ডিয়ান। প্রকাশিত ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ (আইপিএস) ৩০০টি মার্কিন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের ওপর চালানো একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সিইও ও কর্মীদের বেতনের গড় ব্যবধান ৬৭০:১-এ উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ কর্মীদের প্রতি ১ ডলারের বিপরীতে সিইওরা গড়ে ৬৭০ ডলার আর্থিক সুবিধাদি পেয়েছেন। ২০২০ সালে এ অনুপাত ৬০৪:১ ছিল। গত বছর শীর্ষ ৪৯টি সংস্থার এ অনুপাত ১০০০:১-এর ওপরে ছিল। জরিপ করা এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য করে না। এক্সিকিউটিভ অ্যাকসেস শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাহীদের আর্থিক সুবিধার বড় একটি অংশ আসে শেয়ার থেকে। বাইপ্যাকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়ে যায় এবং এতে বেড়ে যায় নির্বাহীদের বেতনও। এজন্য মার্কিন সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন নির্বাহীদের বেতন বাড়ানোর জন্য বাইপ্যাককে কাগজের কৌশল ছাড়া কিছুই নয় বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে কর্মীদের বেতন কমানো দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান স্টক বাইপ্যাকের মাধ্যমে সিইওদের বেতন বাড়াতে শত শত কোটি ডলার ব্যয় করেছে। সবচেয়ে বড় বাইপ্যাক করা প্রতিষ্ঠান ছিল খুচরা বিক্রেতা লোই’স। প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার পুনঃক্রয়ের জন্য ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। এ অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার ৩ লাখ ২৫ হাজার কর্মীর প্রত্যেকের বেতন ৪০ হাজার ডলার বাড়াতে পারত। যেখানে সংস্থাটির কর্মীদের গড় বেতন ২২ হাজার ৬৯৭ ডলার। এ বেতনের পরিমাণ সব প্রতিষ্ঠানের গড়ের চেয়েও ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কম। আইপিএসের গ্লোবাল ইকোনমি প্রজেক্টের পরিচালক সারাহ অ্যান্ডারসন বলেন, মহামারীর মধ্যেও সিইওদের উচ্চ বেতন মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সাম্প্রতিক একটি ভোটের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ৮৭ শতাংশ মার্কিন নাগরিক সিইও ও কর্মীদের বেতনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধানকে দেশের একটি সমস্যা হিসেবে দেখেন। আইপিএস জানিয়েছে, জরিপের অনেক প্রতিষ্ঠানই ফেডারেল সরকারের চুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি প্রতিষ্ঠান ফেডারেল চুক্তি থেকে ১ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ১ মে ২০২২ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রাপক ছিল ম্যাক্সিমাস। ফেডারেল শিক্ষার্থী ঋণ ও মেডিকেয়ার কল সেন্টার পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানটি ফেডারেল চুক্তিতে ১ হাজার ২৩০ কোটি ডলার পেয়েছে। বেতনের ব্যবধানের ক্ষেত্রেও সংস্থাটি অনেক এগিয়ে আছে। গত বছর ম্যাক্সিমাসের সিইও ব্রুস ক্যাসওয়েল ৭৯ লাখ ডলার আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। এটি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের বেতনের গড়ের ২০৮ গুণ। জরিপে অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফেডারেল চুক্তিতে ১ হাজার ৩০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে অ্যামাজন। গত মাসে শেয়ারহোল্ডাররা সংস্থাটির সিইও অ্যান্ডি জ্যাসির জন্য ২১ কোটি ২০ লাখ ডলারের বেতন চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে। এ বেতনের পরিমাণ সংস্থাটির কর্মীদের গড় বেতনের চেয়ে ৬ হাজার ৪৭৪ গুণ বেশি। গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ