মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে জার্মানির রাশিয়া নীতিকে কেন্দ্র করে জোরালো বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ বিশেষ করে সাবেক চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের আমলেও জার্মানি যথেষ্ট কড়া মনোভাব দেখায় নি বলে অভিযোগ উঠছে৷ বরং রাশিয়ার জ্বালানির উপর জার্মানির নির্ভরতা বেড়েছে।
শুধু ম্যার্কেল নয়, জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকেও এমন ‘রাশিয়া প্রীতি’-র অভিযোগ শুনতে হচ্ছে৷ এমনকি সেই কারণে কিয়েভ সফরের পরিকল্পনা করেও তাকে ইউক্রেনের নেতৃত্বের শীতল আচরণের কারণে পিছিয়ে আসতে হয়েছে৷ এমনই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া-নীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ম্যার্কেল৷ মঙ্গলবার বার্লিনে এক মঞ্চে দর্শকদের সামনে এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে তিনি ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার নিন্দা করেছেন৷
নিজের আমলের রাশিয়া-নীতি নিয়ে ম্যার্কেলের অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই৷ কী করলে বর্তমান পরিস্থিতি এড়ানো যেতো, তা অবশ্যই তাকে ভাবাচ্ছে৷ তবে ম্যার্কেলের মতে, পশ্চিমা বিশ্ব এমন কোনো নিরাপত্তা কাঠামো সৃষ্টি করতে পারতো না, যা রাশিয়াকে সন্তুষ্ট করতে পারতো৷ ফলে নিজের নীতির কারণে ক্ষমা প্রার্থনার কোনো কারণ দেখছেন না ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন, কূটনীতিতে কাজ না হলে সেই কূটনীতি মোটেই ভুল বলে গণ্য করা চলে না৷
এমনকি ২০২১ সালেও রাশিয়া বার বার ইউক্রেনের উপর হামলার ইঙ্গিত দিলেও সেই উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি৷ ব্যক্তি হিসেবে পুতিনের মূল্যায়নেও নিজের কোনো ভুলভ্রান্তির অবকাশ দেখছেন না ম্যার্কেল৷ রুশ ভাষায় পারদর্শী সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর জার্মান ভাষায় পারদর্শী পুতিনকে চেনার অনেক সুযোগ পেয়েছেন৷ ম্যার্কলের মতে, পুতিন এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভেঙে দিতে চেয়েছেন, যে বিষয়ে তিনি ইউরোপীয় নেতাদের বার বার সতর্ক করে দিয়েছেন৷ সাবেক চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেল বর্তমান সরকারের নীতি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও তিনি চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন৷
ম্যার্কেল ঠিক এই মুহূর্তে কেন ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে বিস্তারিত মতামত দিলেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ কিছু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি নিজের দুই পূর্বসূরির দশা দেখে বিতর্ক দানা বাঁধার আগে সেই প্রক্রিয়ার রাশ নিজের হাতে রাখতে চান৷ হেলমুট কোল ও গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের মতো ব্রাত্য হতে চান না৷ ইউক্রেন সঙ্কটের শুরুতে নীরবতার কারণে প্রেসি়ডেন্ট স্টাইনমায়ার যেভাবে প্রবল সমালোচনার শিকার হয়েছেন, সম্ভবত সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েও ম্যার্কেল নিজের অবস্থান খোলসা করতে আগ্রহী হয়েছেন৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।