গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হাইকোর্ট বলেছেন, প্রত্যেক পরিবারে একজন ডাক্তার থাকা উচিত। কারণ, সাধারণ মানুষ হাসপাতালে গেলে ডাক্তার সাহেবরা কথা বলতে চান না। একটু বেশি সময় নিয়ে রোগী বলতে চাইলে তারা বিরক্ত হন। প্রত্যেক পরিবারে একজন ডাক্তার থাকলে এ সমস্যা থাকবে না।
মঙ্গলবার বরিশালে প্রসূতি শারমিন আক্তার শিলার পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় রিটের শুনানিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত বলেন, পেটে গজ রেখে সেলাই করে মেয়েটির জীবন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সময় আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, রিট আবেদনটি সংশোধন করে নিয়ে আসুন। আমরা ভালো আদেশ দেব। পরে রিটের শুনানি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জীবন নেছা মুক্তা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এর আগে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশনের পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় ভিকটিম শারমিন আক্তার শিলাকে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও তদন্তপূর্ব দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের পরিবারের খরচ নির্বাহের জন্য তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জীবন নেছা মুক্তা জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। স্বাস্থ্য সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার,বরিশাল মেডিকেলের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল রাতে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা জিয়াউল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার শিলা। অস্ত্রোপচারের পর থেকে পেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। এ জন্য সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কিছু দিন পর শুরু হয় প্রচণ্ড পেটে ব্যথা। ফুলে যায় পেট। ২১ মে পেট ফুটো হয়ে পুঁজ বের হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে ২২ মে পুনরায় অপারেশন করা হয়। শারমিনের পিতা আব্দুর রব সিকদার বলেন, সরকারি হাসপাতালে মেয়ে এনে ভর্তি করিয়েছি সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ে মরতে বসেছে। এভাবে হলে মানুষ যাবে কোথায়? আমি বিচার চাই এই অপচিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারের।
তিনি বলেন, অপারেশনের পর যখন আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন শেবাচিম হাসপাতালেই দেখাই। সেখানে চিকিৎসক জানান, নাড়ি প্যাঁচ পড়েছে। ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। তারা নতুন করে ওষুধ দেন। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয় না। এক পর্যায়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে সেখানের চিকিৎসক জানান পেটে গজ রয়েছে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। শেষে হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করালে ২২ মে সকালে অপারেশন করা হয়। এখন কিছুটা সুস্থ তবে ঝুঁকিমুক্ত নয় সে। পুনরায় অস্ত্রোপচার করে গজ বের করা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক জানান, দীর্ঘদিন গজ থাকায় পেটের ভেতরে পচন ধরে নাড়ি ফুটো হয়েছে। অপারেশন করা হয়েছে। তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।