Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাজপথে পথে নামলে সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না: টুকু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২২, ৯:২৮ পিএম

বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে আওয়ামী দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপির ৪১ লাখ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই ৪১ লাখ কর্মী যখন একত্রে রাজপথে নেমে এসে প্রতিবাদ করবেন তখন আর এ সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।

মঙ্গলবার (০৭ জুন) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দারুসসালাম থানার ৯ ও ১০ এবং শাহআলী থানার ৮ ও ৯৩ নং ওয়ার্ডের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আওয়ামী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের ভ্যাট ট্যাক্স এর টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। ১৮ কোটি মানুষের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। তিনি সরকারকে প্রশ্ন করে বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৪২ হাজার কোটি টাকায় করা হলো কেনো? আবার আপনারাই বলছেন পদ্মা সেতু ঋণ নিয়ে করেছেন? কত বছরে সেই ঋণ শুধ করবেন তাও বলেন নি। জনগণের কাছে সকল কিছুর হিসেব দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এ নিজের টাকার হিসেব তিল তিল করে আদায় করে নিবেন। জনগণ এ হিসেব জানতে চায়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, আওয়ামী সরকার সারাদেশকে একটা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। সরকার দলের নিজের লোকেরাই এই লুটপাটের অপকর্মে জড়িত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আমান বলেন, রাতের অন্ধকারের এই অবৈধ আওয়ামী সরকারকে একটা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরাতে হবে। আনান বলেন, ৯০ এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দেশে যে গণতন্ত্রের চর্চা ফিরিয়ে এনেছিলেন সেই গণতন্ত্র আজ ভূলন্ঠিত। ইশা আল্লাহ ১৮ কোটি জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বেেলন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষ হাহাকার করছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। আমিনুল হক আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই অবৈধ আওয়ামী সরকারকে হঠানো এখন ঈমানি দায়িত্ব হয়ে গেছে। যখন রাজপথে নামার ডাক আসবে, তখন ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। তখন এ নিশিরাতের সরকার পালানোর পথ পাবে না।

সম্মেলনে ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটির সদস্যগণ ব্যালটের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করেন।

ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএ সিদ্দিক সাজু'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদ সোহরাব, মহানগর উত্তর বিএনপির আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আতিকুল ইসলাম মতিন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, মো. আক্তার হোসেন, মোস্তফা জামান, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবিএম আব্দুর রাজ্জাক, হাজী মো. ইউসুফ, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, আফাজউদ্দীন, হুমায়ুন কবির রওশন, হাফিজুর রহমান ছাগীর, হাফিজুল হাসান শুভ্র, মো. হানিফ মিয়া, মো. এ্যাড. জসীম, জিয়াউর রহমান জিয়া, উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদুল ইসলাম সাইদুল, রাজীব আহম্মেদ, মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের আবুল কালাম আজাদ নাসির, মো. জুয়েল রাজ, তরিকুল ইসলাম রানা, মো. রবিন, থানা বিএনপির হাজী কায়সার আহম্মেদ পাপ্পু, হাজী আবদুল মতিন, হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, আরিফ মৃধা, বাবুল মিয়া, মো. মোস্তফা বেপারী, ওয়ার্ড বিএনপির মো. জয়নাল আবেদীন, মো. আবু সাঈদ দিপু, মো. সেলিম ইকবাল, মো. দিদারুল ইসলাম, আবুল রাহিদ রাহাদ, মো. শফিকুর রহমান মামুন, মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, মীর আবু বক্কর সিদ্দীক মাকসুদ, মো. মোশাররফ হোসেন রতন, এহসানুল হক আপেল, মো. সোলায়মান দেওয়ান, পশ্চিম ছাত্রদলের মো. সোহেল রহমান, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. ইকবাল মাহমুদ রিপন, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এসএম রুস্তম আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক কেএম ইয়াহিয়া সামী, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ ওয়ার্ড থেকে আগত কাউন্সিলরবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ