প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অবশেষে কোনো ধরনের কর্তন ছাড়াই সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে দেশের বহুল আলোচিত সিনেমা অনন্ত জলিলের দিন-দ্যা ডে। গত ৬ জুন সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। সিনেমাটি দেখে, সেন্সরবোর্ড সদস্যরা ভূয়সী প্রশংসা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সেন্সরবোর্ডের এক সদস্য বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা হয় না বললেই চলে। এত বিপুল ব্যয়ে নির্মিত দেশীয় সিনেমা প্রথম দেখলাম। এর নির্মাণশৈলী, দেশ-বিদেশের দুর্গম অঞ্চলে শুটিং করার মতো সিনেমা এটাই প্রথম। তিনি অনেকটা মজা করে বলেন, ‘আসলে, অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ’। তার সিনেমা বরাবরই আন্তর্জাতিক মান সামনে রেখে নির্মিত হয়। সিনেমাটি শুধু অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ নয়, এর মধ্য দিয়ে মাদক ও অপরাধ দমনের একটি ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে। এতে দর্শক যেমন বিনোদন পাবে, তেমনি শিক্ষণীয় উপকরণ পাবে। আশা করি, আগামী ঈদে এটি হবে দর্শকের জন্য সেরা বিনোদন। আরেক সদস্য বলেন, সিনেমাটি ব্যয়বহুল তাতে সন্দেহ নেই। এর ব্যয় পর্দায় ফুটে উঠেছে। সবচেয়ে বড় কথা, হলিউড-বলিউডের সিনেমায় যেমন বিদেশে গিয়ে ব্যাপক অ্যারেঞ্জম্যান্টের মাধ্যমে শুটিং করা হয়, এ সিনেমায়ও তাই করা হয়েছে। এতে মনে হয়নি, বিদেশের কোনো একটি লোকেশনে গিয়ে অনেকটা চুপিসারে শুটিং করা হয়েছে। সিনেমায় গল্পের যে প্রেক্ষাপট, তা দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে ছড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য এ ধরনের সিনেমার বিকল্প নেই। সারাবিশ্বের সিনেমা আন্তর্জাতিক বাজার ধরার জন্য বিশ্বজুড়ে শুটিং করে। আমার কাছে মনে হয়ছে, অনন্ত জলিল আমাদের সিনেমাকে সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার জন্য এককভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মতো এমন উদ্যোগ আরও অনেকের নেয়া উচিৎ। সেন্সরবোর্ডের আরেক সদস্য বলেন, আমরা উন্নতি করছি। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। সিনেমার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকতে পারি না। যদিও এক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে। সিনেমায় চরম মন্দাবস্থা চলছে। অথচ দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নতির সাথে সাথে আমাদের সিনেমারও উন্নতি হওয়া জরুরি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজার সৃষ্টি করার মতো সিনেমা প্রয়োজন। অনন্ত তার জায়গা থেকে এ চেষ্টা করছেন। দিন-দ্যা ডে দেখে মনে হয়েছে, আন্তরিকতা ও উদ্যোগ থাকলে আমরাও আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা নির্মাণ করতে পারি। উল্লেখ্য, সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায়। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের অনন্ত জলিল ও ইরানের মুর্তজা আতাশা জমজম। এর শুটিং হয়েছে বাংলাদেশ, ইরান, আফগানিস্তান ও তুরস্কে। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন অনন্ত ও বর্ষা। এছাড়া ইরান, লেবানন, তুরস্কের শতাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলী অভিনয় করেছেন। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ২ ঘন্টা ২৩ মিনিটের সিনেমাটি আগমী কোরবানী ঈদে মুক্তি পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।