মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও বিশ্বের দিক থেকে কড়া ও সুস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান। “যে কোনো পারমাণবিক পরীক্ষাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশনের পুরোপুরি লংঘন এবং এ ধরনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে দ্রæত ও জোরালো প্রতিক্রিয়া হবে। আমার বিশ্বাস কেবল দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র আর জাপানই নয় সমগ্র বিশ্বই কড়া ও সুস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখাবে। “আমরা প্রস্তুত, আমাদের ত্রিপক্ষীয় (জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র) আলোচনা কালও চলবে,” সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন-ডংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শেরম্যান এমনটাই বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার উত্তর কোরিয়ার একযোগে ছোড়া একাধিক স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টায় পরদিন যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াকে কেন্দ্র করে কোরীয় উপদ্বীপজুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তার মধ্যেই শেরম্যান পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে এ হুঁশিয়ারি দিলেন। উত্তর কোরিয়ার একমাত্র জ্ঞাত পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র পুঙ্গি-রিতে নতুন নির্মাণ কাজের লক্ষণ মিলেছে এবং পিয়ংইয়ং শিগগিরই একটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে বলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরীয় সরকারের কর্মকর্তা ও উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। ২০১৭ সালের পর এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমার কোনো পরীক্ষা চালায়নি। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সোমবার বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ইয়ংবিয়নে প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা স¤প্রসারণের কাজ এগিয়ে চলছে। এমন এক সময়ে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পারদ চড়ছে যখন উত্তর কোরিয়াকে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত দেশটি ৪১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯০ জনের মধ্যে জ্বরের লক্ষণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে। ঘোষিত এই সংখ্যা প্রকৃত আক্রান্তের তুলনায় কম হতে পারে বলে অনুমান অনেক বিশেষজ্ঞের। সেখানকার কোভিড পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও; কিন্তু এরপরও উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত কোভিড মোকাবেলায় ওয়াশিংটন ও সিউলের সাহায্য প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। “দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যরা মানবিক সহায়তার যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে তারা এখনও সাড়া দেয়নি। কিন্তু আমরা আশা করছি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন উসকানি দেওয়া এবং বিপজ্জনক ও অস্থিতিশীল কর্মকাÐের বদলে আলোচনার টেবিলে ফিরবেন এবং নিজের দেশের জনগণকে কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করার দিকে মনোযোগ দেবেন,” বলেছেন শেরম্যান। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।