Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রামগতিতে ছাগল চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২২, ১২:০৪ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের সেই বিতর্কিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৬ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতির আমলি আদালতের বিচারক নুসরাত জামান এ আদেশ জারি করেন। তবে রাত আজ মঙ্গলবার.... পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ রামগতি থানায় পাঠানো হয়নি বলে জানা গেছে। জসিম ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

বাদীর আইনজীবী মো. সোলায়মান মোল্লা জানান, ছাগল চুরির মামলা আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছেন। শিগগিরই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশের কপি রামগতি থানায় পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আমলি আদালতে চরবাদাম ইউনিয়নের বাসিন্দা জুলফিকার আলী চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি এ মামলা দায়ের করেন। এতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলে ইফতেখার হোসাইন শাওনসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাগল চুরির পাশাপাশি মাছ এবং মাছের খাদ্য লুটেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন ফরহাদ হোসেন সুমন, নুরুল আমিন,খুরশিদ আলম। তারা চরবাদাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরসীতা গ্রামের বড় বাড়ির বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়,রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বাড়ির সামনে বাদী জুলফিকার আলীর একটি মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি ভোররাতে সেখানে ঢুকে দুটি ছাগল জবাই ও চুরি করে নেয় অভিযুক্তরা। এ ছাড়া ওই প্রজেক্টে থাকা মাছের খাদ্য এবং একটি পাম্প চুরি করা হয়। ওইদিন সকালে প্রজেক্টে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন এবং ঘটনাস্থলে ছাগল জবাই করায় রক্তের দাগ দেখতে পান।

জুলফিকার আলী চৌধুরী জানান,জসিমের সঙ্গে তার জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ জন্যই তার ছেলের জন্মনিবন্ধনে সই করছে না চেয়ারম্যান জসিম। লোক দিয়ে তার প্রজেক্টের পুকুর থেকে ২০ হাজার টাকার মাছ লুট করেছে। ছাগল চুরি করে খেয়েছে। তার শ্বশুরের ১৭টি মহিষ জিম্মায় রাখার নামে বিক্রি করে ফেলেছে এই চেয়ারম্যান।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাজানো ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। চুরির ঘটনায় তিনি কিংবা তার কোনো লোক সম্পৃক্ত নয়।

উল্লেখ্য: চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের এই চেয়ারম্যান একসময়ের জেএসডির নেতা ছিলেন। পরবর্তী আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি ক্ষমতাশীন দলে যোগ দিয়ে ভাগিয়ে নেন নৌকার টিকেট। হয়ে যান
ইউপি চেয়ারম্যান। চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির পদটিও ভাগিয়ে নেন চেয়ারম্যান জসিম। একদিকে চেয়ারম্যান অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ পেয়ে যা ইচ্ছা তা করে বেড়াচ্ছে এই চেয়ারম্যান। জমি দখল,সরকারী চাল বিতরণে নানা অনিয়ম,চাগল চুরি, ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী অপহরণ,দোকানঘর ভাংচুর ও তার জিম্মায় রাখা ১৭ টি মহিষ আত্মসাৎ করার অভিযোগে অসংখ্য মামলা চলমান রয়েছে চরবাদাম ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিমের বিরুদ্ধে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ