Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্রপাড়ের গোপন ঘাঁটিতে পাকিস্তানের ১৪০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ রয়েছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দুটি দেশ পাকিস্তান ও ভারত কাশ্মির ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমানে মারমুখী অবস্থানে রয়েছে। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র এই দুটি দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে সেই শুরু থেকেই। সেই প্রতিযোগিতার ধারাবাহিকতায় আশি নব্বইয়ের দশকে পরমাণু অস্ত্র বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামে দেশ দুটি। সেই শক্তি প্রদর্শনের মহড়ার রেশ চলছে আজও। জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন কমিটি পরমাণু অস্ত্র বাড়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশ দুটির ওপর। এরপর অনেকটাই কমে যায় পারমাণবিক অস্ত্রের ঝনঝনানি।
কিন্তু পাকিস্তানের প্রতিবেশী ভারত বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছিল, গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে দেশটি। ভারতের এই দাবির সত্যতা যাচাই করা না গেলেও সম্প্রতি  যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) ও দেশটির মহাকাশবিষয়ক সংস্থা (নাসার) বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক সময়ে চালানো এক যৌথ প্রতিবেদন পাকিস্তানের পারমাণবিক সমরাস্ত্র মজুদ রাখার দাবি করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে উপগ্রহে পাওয়া চিত্র ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মার্কিন ওই গবেষক দল জানিয়েছে, সমুদ্রপাড়ের ১০টি গোপন ঘাঁটিতে অন্তত ১৪০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করেছে পাকিস্তান। এ ছাড়াও এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ও মিরেজ বিমানগুলোকে ক্ষেপণাস্ত্র বহনক্ষম করে তুলছে পাকিস্তান। প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সমুদ্রতীরবর্তী করাচির মাশরুর বিমানঘাঁটিকে সন্দেহজনক স্থাপনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী বিমানগুলোকে মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই প্রতিবেদন।
এ ছাড়া পাকিস্তানের করাচি, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের বিভিন্ন মিসাইল গ্যারিসন ও বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাখা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান যেসব জায়গায় পরমাণু অস্ত্র মজুদ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে সেগুলো হলো করাচির মাসরুর, সিন্ধুপ্রদেশের আক্রা, পঞ্জাবের গুজরানওয়ালা, বেলুচিস্তানের খুজদার, সিন্ধুপ্রদেশের আকিল ও সারগোদা সেনাঘাঁটি। এই ঘাঁটিগুলোর বেশির ভাগই সমুদ্রতীরবর্তী স্থানে অবস্থিত বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য নিয়ে গত সপ্তাহে ‘বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্ট’ ম্যাগাজিনে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এনডিটিভি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ