ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এবার জনগনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ৫০ টি সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা এবং পরবর্তী পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলা সদরের অন্তত ২৭টি স্থানে এসব ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন এবং সহকারি পুলিশ সুপার (নবীনগর সাকেল) মো. আব্দুল করিম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সহকারি পুলিশ সুপার (নবীনগর সাকেল) আব্দুল করিম জানান, সেখানকার নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে সদর এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। কারা এসব স্থানে যাওয়া আসা করছে কিংবা কি কাজ করছে সিসি টিভির মাধ্যমে তা মনিটর করা হবে। প্রাথমিক পযায়ে সোমবার আমরা উপজেলা সদরের ২৭ টি পয়েন্টি এসব ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। তবে দ্রতই বাকি চিহিত স্থানগুলোতেও ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি সাখাওয়াত হোসেন এখনো নাসিরনগরে অবস্থান করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখানকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। আমরা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সম্প্রীতি রক্ষায় উঠান বৈঠকসহ নানা কাজ করছি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ফেস বুকে পবিত্র কাবা শরীফের উপর শিব মূর্তির ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি মন্দির ও বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের পর মোট চারদফায় সেখানকার মন্দির ও বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এর মদ্যে ২ বার আগুন দেয়া হয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেবের বাড়িতে। তবে আগুন লাগানো ঘরগুলোর মধ্যে গরুবিহীন গোয়ালঘরে, দেয়ালবিহীন (চারটি বাঁশে শুধু চালা দেয়া) রান্নাঘর, পাটখড়ি রাখার ঘর হওয়ায় রহস্য সষ্টি হয়েছে। পুলিশ এবং স্থানীয়রা ধারণা করছেন শুধুমাত্র আতঙ্ক তৈরির জন্যই এসব আগুন লাগানো হচ্ছে। তবে এসব ঘটনায় নতুন করে আবার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আগুন সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তথ্য দিলে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে আসামী গ্রেপ্তার হলে তথ্যদাতাকে ১ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষনা দিয়েছেন জেলা পুলিশ।