Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন, পুলিশ সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২২, ৩:২২ এএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ সময় আরও ৯ জন পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন।

পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম মো. তুহিন। তিনি সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কনস্টেবল। এছাড়া আরও পাঁচ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের অন্তত ১০ সদস্যসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ওই ডিপোতে রাসায়নিকের কনটেইনারে বিস্ফোরণের কারণে দুর্ঘটনাস্থলে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এখন আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

রাত ১টার দিকে চার জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ অবস্থায় শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, দগ্ধ অবস্থায় এ পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেকের রক্ত প্রয়োজন। রক্ত দিতে আগ্রহীদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক-নার্সকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আসার জন্য বলা হয়েছে। এতগুলো রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত নেই। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, স্যালাইন, পেইনকিলার নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করছি সবাইকে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আহতদের দেখতে এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে আমি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছি। দগ্ধদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করছি। প্রয়োজনে আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন নেভাতে আরও কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকেও ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কতজন হতাহত হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আহত হয়েছেন বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ