পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ার পর মৃত্যুবরণকারী ১০৪ শিশুর পরিবার প্রতি ১৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৯৯১ সালে প্যারাসিটামল সিরাপ ও ২০০৯ সালে রীড ফার্মার প্যারাসিটামল ওষুধ খেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব শিশু মারা যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে গাইডলাইন তৈরি ও এন্টিবায়োটিকের মান যাচাইয়ে ল্যাবরেটরি টেস্ট করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলা দ্রত নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১০ সালে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন একটি ডিভিশন বেঞ্চ। রিটের এক যুগ পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশরাফুর কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চে রুলের চ‚ড়ান্ত শেষে এ আদেশ হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ, অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মÐল ও অ্যাডভোকেট শাহীন আরা লাইলী। বিবাদীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানিতে বলেন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার হলো বেঁচে থাকা। কিন্তু ভেজাল ওষুধের কারণে অনেককে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় ভেজাল ওষুধের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান থাকলেও তা কার্যকর হয়নি।
রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটাল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যায়। এরপর ২০০৯ সালে রীড ফার্মার প্যারাসিটামল খেয়ে মারা যায় ২৮ শিশু। এ ঘটনায় ২০১০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট করে। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছিলেন। রুলের চ‚ড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এই রায় দিলেন। রায়ে বলা হয়েছে, ওই ১০৪ শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অর্থ আদায় করবে। এছাড়া ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নিষ্ক্রিয়তাকে অবৈধ ঘোষণা, ভেজাল ওষুধের অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি আদালত বলেছেন, ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর দায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এড়াতে পারে না। ২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে সারা দেশে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তৎকালীন তত্তাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকার ড্রাগ আদালতে কোম্পানিটির মালিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।