গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে পরিদর্শনে এসে কলেজটির অবকাঠামোগত জীর্ণ অবস্থা দেখে ব্যথিত হয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। তাই কলেজের জরুরি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নতুন ভবন, ছাত্র হোস্টেল, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১ জুন) এই নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার সচিব ঢাকা কলেজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তখন তিনি কলেজের অফিস কক্ষ, শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, টয়লেট, গ্যালারি, ছাত্রাবাস ইত্যাদি অবকাঠামোর অবস্থা দেখে হতাশা প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।
চিঠিতে তিনি লেখেন, ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের প্রাচীনতম কলেজ। বাংলাদেশের রাজধানীর নামে নামকরণ করা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এর অবকাঠামোগত জীর্ণ অবস্থা দেখে ব্যথিত হয়েছি। অফিস কক্ষ, শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, টয়লেট, গ্যালারি, ছাত্রাবাস সর্বত্র বিদ্যমান এ দুরবস্থা দেখে প্রতীয়মান হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হওয়ার যে প্রয়াস সর্বত্র প্রতিফলিত হচ্ছে, ঢাকা কলেজ তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি এ অবহেলা ও উদাসীনতা বোধগম্য নয়।
তিনি আরও লেখেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যমান জীর্ণ অবস্থা দূর করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যাপক রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শুরু করা দরকার। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে নতুন বহুতল একাডেমিক ভবন, ছাত্র হোস্টেল ও শিক্ষকদের আবাসিক ভবন নির্মাণসহ কলেজের সমগ্র জমির ব্যবহার সংক্রান্ত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন প্রয়োজন। এ বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শিক্ষা সচিব। এ সময় তার সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।