Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সকলের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করুন

সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সম্মিলিতক সমন্বয় ফ্রন্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২২, ৯:০৫ পিএম

সিন্ডিকেট পদ্ধতি বাতিল করে সকল রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করুন। ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশটিতে কর্মী পাঠালে অভিবাসন ব্যয় বাড়বে। এতে আইএলও এর কনভেনশন লঙ্ঘিত হবে এবং দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। সিন্ডিকেট চক্র শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করে পুরো জনশক্তি রফতানির প্রক্রিয়াকে নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।


আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বায়রা সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংগঠনের মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক শীর্ষ নেতা গোলাম মোস্তফা বাবুল, বায়রার সাবেক শীর্ষ নেতা আকবর হোসেন মঞ্জু, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, মহাসচিব আরিফুর রহমান, রেহানা বেগম ও কাজী আব্দুর রহিম।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির নামে ২৫টি এজেন্সির সিন্ডিকেট ২৫ হাজার কোটি টাকা পাচারের পাঁয়তারা করছে। এই সিন্ডিকেটকে দেশের উন্নয়ন বিরোধী, মুদ্রা পাচারকারী, অভিবাসী শ্রমিকদের অর্থ লুণ্ঠনকারী ও স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যায়িত করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার দাবি জানান তারা। বায়রার সাবেক শীর্ষ নেতা রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানিতে কথিত ২৫টি এজেন্সির সিন্ডিকেটের বাজার দখলের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে সকল বিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে।

সংগঠনের মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ বলেন, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, সে সময় কর্মী যাওয়ার কথা ছিল ১৫ লাখ জন। কিন্তু গেছে মাত্র দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ জন। ফলে নিশ্চিত চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন ১২ লাখ ২৫ হাজার জন। ওই সময়ে অভিবাসন ফি বাবদ নেয়ার কথা ছিল এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু নিয়েছে সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকা। জনপ্রতি অতিরিক্ত আদায় করেছে প্রায় দুই লাখ টাকা। এভাবে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে বিদেশে পাচার করেছে মাত্র ১০ সদস্যের সিন্ডিকেট চক্র। আর সেসময়ে ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে ১২০০ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উভয় দেশের মাঝে চুক্তি স্বাক্ষরের দীর্ঘ ৬ মাসেও দেশটিতে কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি। সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার কারণে সেই আশা পূরণ হয়নি। পরে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট প্রথা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। পরে পুলিশী বাধার মুখে মানববন্ধন পন্ড হয়ে যায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ